.গণ অধিকার পরিষদের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খাঁনকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করেছেন দলের সদস্যসচিব নুরুল হক নূর ও তার অনুসারীরা। তবে দলটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কি না, সম্পর্কে কিছুই জানাননি তারা। এবার নূরকে সদস্যসচিব পদ থেকে ও রাশেদ খাঁনকে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দিলেন রেজা কিবরিয়া। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান রেজা কিবরিয়া।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গণ অধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্র, ২১ দফা কর্মসূচি, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং মূলনীতি বিরোধী কাজ করা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান, মানি লন্ডারিং আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা, ইসরাইলসহ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সভা আয়োজন ও অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনোনয়ন করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মো. নুরুল হক নূরকে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো।’
এতে বলা হয়, ‘একইসঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করায় কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায় মো. রাশেদ খাঁনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। উভয়কে দলের দপ্তর বরাবর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘একইসঙ্গে আমি ড. রেজা কিবরিয়া, আহ্বায়ক, গণ অধিকার পরিষদ সাংগঠনিক ক্ষমতাবলে পরবর্তী নির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সদস্যসচিব হিসেবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও গণ অধিকার পরিষদের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা হাসান আল মামুনকে (মো. আল মামুন) ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব হিসেবে মনোনীত করছি।’
তিনি বলেন, ‘দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আন্দোলন বেগবান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।’
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে টানাপোড়েন চলছিল গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নূরের মধ্যে। গতকাল সোমবার তা চরমে ওঠে। গতকাল দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁনকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় নূরদের পক্ষ থেকে। তবে রেজা কিবরিয়াকেও বহিষ্কারের কোনো কথা জানায়নি তারা।
এদিকে, নূরদের এমন সিদ্ধান্তকে অবৈধ হিসেবে অভিহিত করেছেন ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি দাবি করেছেন, গণ অধিকার পরিষদের অধিকাংশ নেতাকর্মীই তার সঙ্গে থাকবেন। তার নেতৃত্বেই নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাবে গণ অধিকার পরিষদ।