চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে মোবারক হোসেন বাবু (৪৮) নামের এক জন নিহত ও কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত বাবুর ছেলে ইমরান বেপারী (১৮) ও একই গ্রামের মনু কবিরাজের ছেলে জহির কবিরাজ (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মোবারক হোসেন বাবুর ভাই আমির হোসেন কালু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি নেতার হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানের কর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কর্মীদের সমাবেশে আসার পথে বাধা প্রদান করে ও গুলি চালায়। কাজী মিজান স্থানীয় এমপি নুরুল আমিন রুহুল গ্রুপের নেতা।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল বাহাদুরপুর আমার এলাকা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। ওইখানে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা রাজ্জাক প্রধান ও কালু বেপারীর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সমস্যা ছিল। সেটিকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
মোবারক হোসেন বাবুর মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামলাকারী কাজী মিজান গ্রুপ আওয়ামী লীগের কেউ না। তারা রাজাকার পরিবার। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে।’
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সিগমা রশিদ জানান, গুরুতর আহত মোবারক হোসেনকে একেবারেই শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মারা যান। বাকি দুই জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘ঘটনাস্থলে মাত্র এসেছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে। তবে এই ঘটনায় মুসা নামে এক জনকে আটক করা হয়েছে।’