নারী কেলেঙ্কারিসহ বেশ কিছু অনিয়মের বিষয়ে খবর প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর পরিকল্পনায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন জানান, নারী কেলেঙ্কারিসহ বেশ কিছু অপকর্মের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের প্রতি ক্ষোভ জন্মায় চেয়ারম্যান বাবুর। তাকে উচিত শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করেন চেয়ারম্যান। আর এ জন্য ব্যবহার করেন নিজের সন্ত্রাসীবাহিনীকে। নাদিম হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় ১০ থেকে ১২ জন। এর বাইরেও আশপাশে ছিল আরও ৮ থেকে ১০ জন।
গত বুধবার রাত ১০টায় বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় রাব্বানীকে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছন থেকে টেনে ধরেন একজন। ওই ব্যক্তির নাম রেজাউল করিম। সাদা শার্ট পরা আরেক ব্যক্তিকে ছুটে যেতে দেখা যায়। তার নাম মনির। মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে রাব্বানীকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে রেজাউল ও মনিরসহ ছয় সাতজন। এরা সবাই সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনী।
একপর্যায়ে রাব্বানী অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানীকে হত্যার তিন দিন পর মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে ১ নম্বর আসামি হিসেবে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবু ও তার ছেলেসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে বাবু চেয়ারম্যান, হত্যায় সরাসরি জড়িত মনির ও জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। বগুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রেজাউল করিমকে।