ক্ষমতাসীন দলের হাত থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানান তিনি। এ ছাড়া নাদিমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের হাতে দেশের মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। তাদের হাত থেকে নারী-পুরুষসহ কেউই রক্ষা পাচ্ছেন না। রেহাই পাচ্ছেন না সাংবাদিকরাও। মানুষের জীবন এখন চরম নিরাপত্তাহীন।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করলে অথবা দুর্নীতির খবর প্রকাশ করলেই নেমে আসে সহিংস আক্রমণ। বর্তমান সরকারের আমলে অর্ধশতাধিকের বেশি সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার এবং অসংখ্য সাংবাদিক মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। এক যুগেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি। এ ছাড়া অসংখ্য সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার না হওয়ায় একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন থাকলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটত না। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কবলে গোটা দেশটাই এখন দুর্বিষহ কারাগারে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষ এখন একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনে বন্দী। এই সরকারের নির্মম নিষ্পেষণ থেকে রক্ষা পেতে মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় সাংবাদিক সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমের ওপর হামলা হয়। মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সন্ত্রাসী হামলায় আহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গোলাম রব্বানি নাদিম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন