আগামী নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এখন থেকেই প্রশাসন সাজাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ওরা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচন কিন্তু শুরু করে দিয়েছে। আরেকটি নির্বাচন। রিগিং করতে হবে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে শুরু করে দিয়েছে। কয়েকটা পত্রিকায় রিপোর্ট বেরিয়েছে যে পুলিশের ব্যাপক রদবদল, ব্যাপক পদোন্নতির। গতকাল যে কাজটি করা হয়েছে সচিবদেরও রদবদল অর্থাৎ প্রশাসনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরামের উদ্যোগে ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভা হয়।
‘আজীবন ক্ষমতায় থাকার এহেন পরিকল্পনা করে অতীতে ‘ফেরাউন চেয়েছিল, নমরুদও চেয়েছিল, এরশাদ সাহেবও চেয়েছিল’ উল্লেখ করে তারা পারেনি বলে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে এখন একটাই পথ, একটাই রাস্তা। রাস্তায় নেমে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে জোরদার-বেগবান করতে হবে। গতকাল আমার যেটা মনে হয়েছে যে (চট্টগ্রাম তারুণ্যের সমাবেশ) সমুদ্রের সেই উত্তাল তরঙ্গের মতো ঝড়-তরঙ্গ সৃষ্টি করে সেটাকে ভেঙে দিতে হবে। সকলকে আজ উঠে দাঁড়াতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে বডি কেমেস্ট্রি সেই বডি কেমেস্ট্রিতে তারা কখনোই ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। আপনি কোথাও যাবেন, কীভাবে চিনবেন আওয়ামী লীগকে? দেখবেন যে জোরে জোরে কথা বলছে, টেবিলটা তাপড়াচ্ছে বুঝবেন সে আওয়ামী লীগ করে। আপনি পুলিশের কাছে যাবেন সেখানে অভিযোগ লেখাতে পারবেন না, আপনি কোর্টে যাবেন সেখানেও আপনি কোথাও বিচার পাবেন না। এজন্য এ সরকারকে সরাতে হবে, সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৬ জুন চারটি পত্রিকা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেয় ততকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এজন্য সাংবাদিকদের একটি অংশ দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।’
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরামের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন ঠাকুরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর শিকদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংবাদিক নেতা এম এ আজিজ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য গনি চৌধুরী চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।