বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম হামলার শিকার হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মেইন রোডের একটি কেন্দ্রে প্রবেশ করা নিয়ে সংঘর্ষে তিনি আহত হন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, হামলার ঘটনায় তিনি আশ্চর্য হয়ে গেছেন।
হামলার ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, ‘সকাল থেকেই কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ পাচ্ছিলাম। পরে আমি সেই কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনে যাই। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথের মধ্যে দেখি একজন বসে আছে, তিনি কোথায় ভোট দিতে হবে দেখিয়ে দিচ্ছেন। পরে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানাই। এরপর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রে দেখি আওয়ামী লীগের ব্যাচধারী লোকজন বসে আছে। তারা আমাকে ঢুকতে দেয়নি। আমি বলি, ‘‘আরে ভাই আমি প্রার্থী, আপনি কে? আপনি তো প্রশাসনের লোক না, আপনি আমাকে ঢুকতে দেন না কেন?’’ তখন পুলিশ নির্বাক ছিল।’
তিনি করেন, ‘আমরা কতগুলো অভিযোগ নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে যাই। রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর আমি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৭ নম্বর কেন্দ্র সাবেরা খাতুন স্কুলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আওয়ামী লীগের ব্যাচধারী লোকজন ভেতরে। প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে গিয়ে বললাম, ‘‘দেখেন এখানে ব্যাচধারীরা থাকতে পারে না’’। এরপর আমি ওখানে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলদের বললাম, ভাই নির্বাচনে যে হয় (নির্বাচিত) হোক, আমরা এখানে প্রভাব সৃষ্টি করব কেন?’’ এর মধ্যে ওরা তর্কাতর্কি শুরু কর।’
হাতপাখার প্রার্থী বলেন, ‘কেউ কেউ বলেছে- ‘‘আমরা এখানে থাকব, আমরা এই ওয়ার্ডের।’’ আমি বললাম, ‘‘ওয়ার্ডে হোক আর যাই হোক আপনি এখানে থাকতে পারেন না।’’ তারপর তারা আমাকে বলছে, ‘‘আপনি আসছেন কেন?’’ আমি বললাম, ‘‘ভাই আমি ক্যান্ডিডেট আর আমাকে প্রশ্ন করছেন আমি আসছি কেন? এটা কেমন কথা।’’ এরপর আমি বললাম, ‘‘যে হয় হোক, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দেন’’।’
তিনি বলেন, ‘এরমধ্যেই দেখি আমার ওপর আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। আমি তো আশ্চর্য হয়ে গেছি, আমি তো চিন্তাই করতে পারি নাই। কোনো উত্তেজনামূলক কথাও না, বক্তব্যও না, কিচ্ছু না, হুট করে আমার ওপরে আক্রমণ শুরু। আক্রমণ করার পর এখন আমি চিন্তা করছি, আল্লাহ কি অবস্থা হয়। আক্রমণ অবস্থায় আমি আমার লোকজনকে বলছি, ‘‘আল্লাহর ওয়াস্তে তোমরা ফের, মারামারি করিও না’’।’
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ফয়জুল করীম বলেন, ‘রাস্তার মধ্যে যে রক্ত ঝরছে, আওয়ামী লীগের পতন ঘটানোর আগ পর্যন্ত যেন আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন রাস্তা থেকে না ওঠায়।’