গাজীপুর: সরকারের নব গঠিত তদন্ত সংস্থ পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই) গাজীপুর অফিস আদালতের দেয়া প্রথম মামলায় সফল অভিযান করেছে। তদন্তের এক সপ্তাহের মধ্যে রাজবাড়ি জেলার একটি পতিতালয় থেকে মামলার ভিকটিমকে উদ্ধার করে ভিকটিমের স্বামী সহ ৪জনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে।
বৃহসপতিবার(২ জুলাই) বিকালে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সংশ্লিষ্টদের হাজির করা হয়। বুধবার রাত থেকে বৃহসপতিবার দুপুর পর্যন্ত টানা অভিযানে তাদের আটক করা হয়।আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।
আটককৃতরা হলেন, ভিকটিমের স্বামী আজগর আলী রানা(২৩), সহায়তাকারী মোঃ আশরাফূল ইসলাম(২৫) , আব্দুল আলী(৩২) ও পতিতালয়ের সর্দারনী বৃষ্টি আক্তার(২০)। এদের মধ্যে পুরুষদের বাড়ি গাজীপুর জেলার ভবানীপুর এলাকার লটিয়ারচালা গ্রামে।
আদালত সূত্র ও পুলিশ জানায়, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগে ভিকটিমের দুলাভাই আঃ বাতেন গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। ২৪ জুন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের নবগঠিত তদন্ত সংস্থা ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই) গাজীপুর অফিসকে দায়িত্ব দেন। তদন্ত সংস্থায় প্রথম মামলা পেয়ে পিবিআই গাজীপুর অফিসের পুলিশ কর্মকর্তারা ষাঁড়াশি অভিযান করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক খোন্দকার শওকত জাহান জানান, পিবিআই এর জেলা প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফের নির্দেশনায় রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ থানাধীন একটি পতিতালয় থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এসময় পতিতালয়ের সর্দারনী বৃষ্টি আক্তার(২০) কেউ আটক করা হয়। এ সময় ভিকটিমের স্বামী ও অপর দু্ই সহযোগীকে আটক করে আদালতে পাঠনো হয়েছে।