এক দশকেরও বেশি সময় পর পুলিশের অনুমতি নিয়ে ঢাকায় সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে সমাবেশ। এরইমধ্যে দলটির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন।
জামায়াতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি যেন না হয় সেই উদ্দেশ্যে সমাবেশস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের ভেতরে এবং বাইরে থানা-পুলিশের পাশাপাশি রিজার্ভ পুলিশ সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে জামায়াতের সমাবেশের বিষয়ে ডিএমপি পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, তিন শর্তে মৌখিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, যানজট সৃষ্টি করা যাবে না এবং মিলনায়তনের ভেতরেই সমাবেশ করতে হবে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দলের আমির শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতা ও আলেমদের মুক্তি এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এ সমাবেশ করছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে জামায়াতকে সমাবেশ করার জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দেয় ডিএমপি।
এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে জামায়াতকে সমাবেশ করার জন্য লিখিত নয় মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আপনারা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করতে পারেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা ঢাকা মহানগরবাসীর জন্য যেখানে যেমন প্রয়োজন সেভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। যেকোনো জায়গায় আমাদের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। কোথাও প্রোগ্রাম হলে আমাদের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। জামায়াতের সমাবেশকে কেন্দ্র করেও আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ আমাদের সময়কে বলেন, এর আগে জামায়াতে ইসলামী ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সর্বশেষ সমাবেশ করেছিল। তারপর সরকার আমাদের সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। যদিও আমরা অনুমতি ছাড়াই রাজধানীতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালন করেছি।