ঢাকা: আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাংকখাতে লুটপাটকারীদের নাম প্রকাশে অর্থমন্ত্রীকে আহবান জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেছেন, ‘অর্থমন্ত্রী আপনি একজন যোগ্য লোক। আপনার ঘোষিত ‘দুষ্টু লোকদের’ তালিকা আপনি প্রকাশ করুন।’
বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) দুপুরে নয়পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদন বিষয়ে বিএনপির মতামত জানতে চাইলে রিপন বলেন, ‘এতে সরকারের কোনো অবদান নেই। জনগণের একান্ত প্রচেষ্টায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার লুটপাট না করলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আবির্ভুত হতে পারতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “ভোটারবিহীন এই সরকারের আমলে অর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপকভাবে লুটপাট হচ্ছে। এটা আমরা আগেও বলেছি। সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একজন সজ্জন মানুষ, তার ভাষায় দুষ্টু লোকেরা রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক থেকে অর্থ লোপাটের সঙ্গে জড়িত।” অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্যে বিএনপির দাবির প্রতিফলন হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা জানতে চাই, ওই সমস্ত দুষ্টু লোক কারা। যাদের সঙ্গে আপনি পারছেন না। পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন। এখন মুখ যেহেতু খুলেছেন, ভালো করে মুখ খুলুন। আপনার বয়স হয়েছে, দেশের পক্ষে দেশের অর্থনীতির পক্ষে কথা বলুন।’
বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘ব্যাংকে যে টাকা জমা হয় তা জনগণের টাকা। বিএনপি জনগণের পক্ষে কথা বলে। ৫৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপী বেড়েছে। এর মধ্যে ৩৫ কোটি রাইট অব (অবলোপনকৃত) করা হয়েছে। যা সরকার প্রকাশ করেনি।
যে পরিমান টাকা ঋণ খেলাপী হয়েছে, তা দিয়ে তিনটি পদ্মা সেতু করা সম্ভব হতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপির সহিংস রাজনীতি সমর্থন করে না উল্লেখ করেন তিনি বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী তিন মাসের আন্দোলনের নেতিবাচক বিষয় বারবার তুলে ধরতে চায়, বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে না। আমরা গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যেতে চাই। আওয়ামী লীগ যদি গত ছয় বছরের লুটপাট বন্ধ করত, তাহলে জিডিপির হার এখন ৮ শতাংশ হয়ে যেত বলেও যোগ করেন তিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রুমী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন উপস্থিত ছিলেন।