পে-স্কেলসহ ছয় দাবিতে ফের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। সম্প্রতি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ছয় দফা দাবি জানিয়ে আবেদন করেছে সংগঠনটি।
গত ৩ জুন প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ে দেওয়া ওই আবেদনে তারা বলেছেন, জাতীয় পে-স্কেল ২০১৫ বাস্তবায়নের পর তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ দিশাহারা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ৪-৫ গুণ বৃদ্ধি পেলেও বিগত আট বছর ধরে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা না করায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা বৃদ্ধি পায়নি।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সমীপে ২৫ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।
অদ্যাবধি ২৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না করায় বাজেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত দাবিগুলোর মধ্য হতে জরুরি ভিত্তিতে উল্লেখযোগ্য ছয়টি দাবি বাস্তবায়নের জন্য পুনরায় অনুরোধ করছি- এক. জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করতে হবে। দুই. জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা প্রদান করতে হবে। তিন. বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশের স্থলে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে। চার. চিকিৎসাভাতা, শিক্ষাভাতা, যাতায়াতভাতা ও টিফিনভাতাসহ অন্যান্য ভাতা দ্বিগুণ করতে হবে। পাঁচ. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। ছয়. বঙ্গভবনের ন্যায় সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৩০ শতাংশ বিশেষ ভাতা প্রদানসহ অন্যান্য সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে।
সংগঠনের মহাসচিব মো. তোয়াহা স্বাক্ষরিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়- উল্লিখিত ছয়টি দাবি বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেওয়া হলে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।