বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমাদের কর্মসূচি চলবে, থেমে থাকবে না। এ কর্মসূচির লক্ষ্য দুঃশাসন ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটানো।’
অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎখাতের দুর্নীতির প্রতিবাদে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি পালন করে ঢাকা জেলা বিএনপি।
কর্মসূচি চলাকালে ওয়াপদা ভবনে গিয়ে জেলার পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে জমায়েত হয়ে মিছিল সহকারে মতিঝিলের বিদ্যুৎ ভবনের দিকে রওনা দেয় জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি মতিঝিলে আসলে পুলিশ বাধা দেয়। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মূল সড়কের উপরে অবস্থান নেয় তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেন বিদেশি চাপের কাছে তিনি মাথা নত করবেন না। আপনি তো প্রধানমন্ত্রী, জনগণের কাছেই মাথানত করেন না। কই সীমান্তে যখন আমাদের লোকজনকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয় তখন তো আপনার মাথা উঁচু করতে দেখি না।’
এই সরকারের পতন অনিবার্য- উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘একজন এমপি বলেছিলেন, বিদ্যুৎ নাকি ফেরি করে বিক্রি হবে, কেনার লোক পাওয়া যাবে না। এখন তো দেখছি অধিকাংশ পাওয়ার প্ল্যান্টই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
এই সরকার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ফেরি করে বিক্রি করে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।
এতে আরও অংশ নেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তমিজ উদ্দিন, যুবদলের রেজাউল কবির পল, ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ, সহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী।