টঙ্গীর এরশান নগরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পাঠাও চালককে হত্যা

Slider গ্রাম বাংলা


টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি: টঙ্গীর এরশাদ নগরের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর শরীফ হোসেন রিফাত(২২) নামে এক পাঠাও চালকের লাশ তুরাগ নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রিফাত এরশাদ নগর দুই নং ব্লকের বাসিন্দা ফারুক মিয়ার ছেলে।

মঙ্গলবার(৬জুন) বিকালে পুলিশ তুরাগ নদীর পলাশোনা এলাকা থেকে এই লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় টঙ্গীর এরশাদ নগর ২ নম্বর ব্লক এলাকার থেকে একই এলাকার কাজল ও সোহাগ বাসায় এসে রিফাতকে ডেকে নেয়। পরে রিফাতকে বলে গাছা থানার পলাশোনা এলাকায় যেতে হবে। রিফাত তাদের কথায় তাদের সাথে বাসা থেকে বের হয়। রাতে কাজল ও সোহাগ বাসায় আসলেও রিফাত আর বাসায় ফেরেনি। মঙ্গলবার দিনভর খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রিফাতের মোটরসাইকেলে লাগানো জিপিআরএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে গাছা থানার পলাশোনা এলাকায় মোটরসাইকেলটি আছে জানা যায়।

তিনি আরও বলেন, পলাশোনা এলাকায় লোক পাঠিয়ে মোটরসাইকেল পাওয়া যায় কিন্তু ছেলে রিফাতকে পাওয়া যায়নি। ওই দুইজন আমার ছেলে রিফাতকে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে ধারনা করছেন তিনি।

গাছা থানার ওসি মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পরে গাছা থানার পুলিশ খোঁজাখুজি করে। পরে ফায়ায় বিগ্রেডের লোকজনের সহযোগীতায় বিকেলে নদীর মাঝক্ষান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নৌ পুলিশের সদস্যরা বিষয়টি জানা পর তারাও আসে। নিহত রিফাতের পরিবারের লোকজন তার পরিচয় শনাক্ত করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।নৌ পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি।

এলাকাবাসী বাসীর বক্তব্যে জানা যায়, কাজর ও সোহাগ সন্ত্রাসী। মাদক ব্যবসা ও সেবনসহ চুরি ছিনতাই করে থাকে তারা। তাদের অত্যাচারে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারতোনা। রিফাত খুবই ভালো ছেলে। তার বাবা অসুস্থ মানুষ। কিডনি ও হার্টের সমস্যা আছে। রিফাত মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালাতো। রিফাতের ভাই রোজার মধ্যে বিদেশ গেছে, কিন্তু এখনও কোন টাকা পয়সা দেয় নাই। রিফাতের মা ও বিদেশ গেছে কিন্তু রিফাতের বাবার সাথে কোন সম্পর্ক নাই। কাজল ও সোহগের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *