‘দেশের মানুষ কোথায় যাবে-না যাবে সেটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’

Slider রাজনীতি


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে না যাওয়ার যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তিনি কোথায় যাবেন, কোথায় যাবেন না সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু দেশের মানুষ কোথায় যাবে, না যাবে সেটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, একটা জাতি কোথায় যাবে-না যাবে, তা এক ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নেবে না। বাংলাদেশের জনগণ তা সিদ্ধান্ত নেবে।

রোববার (৪ মে) সকাল ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিএনপির বিদেশবিষয়ক কমিটির প্রধান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় সরকার পরিবর্তন হলেও যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়ে বিএনপির কাছে জানতে চান ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির।

আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশ জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক বহু পুরোনো। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অনেক ভালো। বিএনপি সরকারের সময় বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ এ দেশে করেছে। সম্পর্ক উচ্চমাত্রায় ছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন। তাদের অনেক ব্যবসা রয়েছে, বিনিয়োগ রয়েছে। এ দেশে সেজন্য তারা উদ্বেগের মধ্যে আছে। তাই সরকার বদল হলেও যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়টি জানতে চেয়েছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমানে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, নির্বাচন নিয়ে সবার কনসার্ন রয়েছে। শঙ্কামুক্ত হওয়ার জন্য কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছেন এখানে পরিবেশ কেমন, সামনে কেমন হবে।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশি সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট পলিটিকাল সেক্রেটারি মিস ইগাই, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *