সৌদি আরবের দেওয়া বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে না পারায় ভিসা পাননি ৪৪ হাজার ২৬৮ হজযাত্রী। ফলে শেষ সময়ে ফ্লাইট নিয়ে বিড়ম্বনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার (৪ জুন) হজ এজেন্সিদের সংগঠন হাব ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
হজ এজেন্সির জন্য দেওয়া শর্ত পূরণ হলেই ভিসা দেয় সৌদি আরব। শর্তগুলোর মধ্যে বাড়ি ভাড়া, ফ্লাইটের টিকিট, প্রবেশ ও বের হওয়ার রুট এবং আসা-যাওয়ার তারিখ নিশ্চিত করা অন্যতম। কিন্তু অনেক এজেন্সি এসব শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় হজযাত্রীদের ভিসা মিলছে না। ফলে প্রতিদিনই বিমানের ফ্লাইট ফাঁকা যাচ্ছে। এতে শেষ সময়ে হাজীদের সৌদি আরব যেতে ফ্লাইট বিপর্যয় হতে পারে এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এটা হজ এজেন্সিগুলোর ব্যর্থতা। তাদের আরও সচেতন হতে হবে। দ্রুত শর্ত পূরণে কাজ করতে হবে।
হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, শেষ সময়ে ভিসা জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভিসার জন্য সৌদির দেওয়া প্রতিটি শর্তই পূরণ করতে হয় এজেন্সি মালিকদের। একটিও পূরণ করতে ব্যর্থ হলে ভিসা হবে না। অনেক এজেন্সি শর্ত পূরণ করতে পারেনি বলে ভিসা দিচ্ছে না। তবে হাবের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
এদিকে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তওফিক আল-রাবিয়াহ দ্রুত বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানকে বার্তা পাঠিয়েছেন। এরপরই হজ এজেন্সিগুলোকে দ্রুত হাজীদের ভিসা করাতে তাগিদ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটা খালি রেখেই হজের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার।
এরপর গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। রোববার (৪ জুন) পর্যন্ত ৫০ হাজার ১৪ জন হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এরমধ্যে চারজন মারা গেছেন।
হজ পালন শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।