চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চূড়ান্তের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান বলে শেষ করে যাবে না। আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে বলে অখ্যাত। ঠিকই কিন্তু এই অখ্যাত মানুষটাই দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছেন। যখন জাতি দিশেহারা, তখন তিনি সাহসী কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দিয়েছিলেন। আমি মেজর জিয়া বলছি। আই রিভোল্ট।’
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার জীবনভিত্তিক বই মেলা ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটি।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সত্যিই দেশের অগ্রদূত হয়ে জন্ম নিয়েছিলেন। যখনই ক্রান্তিকাল দেখা দিয়েছে, তখনই তিনি মানুষের পক্ষে বেরিয়ে এসেছেন। জাতি যখন দিক হারিয়েছে, তখনই তিনি মানুষের জন্য অগ্রনায়ক হয়ে এসেছেন। ৭৫ পরবর্তী সময় যখন দেশের মধ্যে অরাজকতা চলছিল। সেদিন এই অখ্যাত মানুষটিই দায়িত্ব নিয়ে দেশের মানুষকে নিয়ে কাজে নেমে পড়েছিলেন।’
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের এই আন্দোলন চূড়ান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী রাজপথে শহীদ হয়েছেন। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে চালিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্বের কাছে এই সরকারের ভোট চুরির কর্ম প্রমাণিত হয়েছে। আজ তারাও এদের বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না। বিশ্ব জানে এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।’ এটা আশা করা যায় না। তাই এদের পতন করিয়ে আমাদের যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা যে চূড়ান্ত লক্ষ্য তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, প্রফেসর ড. তাজমেরী এসএ ইসলামসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
বক্তব্য রাখার আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবনী চিত্র প্রদর্শন করেন।