রাজধানীর দক্ষিণখানে স্বামীর বাড়িতে কানাডাপ্রবাসী গৃহবধূ আফরোজা বেগম (৩৬) হত্যা মামলায় শ্বশুর, দেবরসহ তিন জনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক শাকিল আহাম্মেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আফরোজার খালা-শাশুড়ি পান্না চৌধুরীর রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
রিমান্ডে যাওয়া তিন আসামি হলেন আফরোজার শ্বশুর সামসুদ্দিন আহমেদ, দেবর সজিব আলম ও তার স্ত্রী তাহমিনা বাশার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজিয়া খাতুন আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন জনের এক দিনের রিমান্ড এবং আরেকজনের রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আফরোজাকে খুনের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তার ভাই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় হত্যা মামলা করেন। আফরোজা বেগমের স্বামী কানাডাপ্রবাসী আশরাফুল আলমকে প্রধান করে ছয়জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে আফরোজাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঘটনার পরের দিন গত শনিবার আশরাফুল কানাডায় চলে যান।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার আশরাফুল নিজেই তার স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে আফরোজার পরনের শাড়ি দিয়ে তাকে পেঁচিয়ে বাসার পেছনে মাটিচাপা দেন।
হত্যার কারণ সম্পর্কে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, বিয়েতে এক কোটি টাকা কাবিন লেখাতে বাধ্য করায় আশরাফুল তার স্ত্রী আফরোজার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। গত শুক্রবার এ নিয়ে দক্ষিণখানের দক্ষিণপাড়ার বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আশরাফুল বটি দিয়ে আফরোজার মাথায় কোপ দেন। এতে তার মৃত্যু হয়। অন্যরা সরাসরি খুনে জড়িত না থাকলেও মরদেহ গুমে সহায়তা করেন। আশরাফুল-আফরোজা কানাডা থাকতেন।