চলতি মৌসুমে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) সঙ্গে চুক্তি শেষ লিওনেল মেসির। মৌসুমশেষে ফরাসি ক্লাবটিতে যে তিনি থাকছেন না, সেই গুঞ্জন ছিল এতদিন। তবে দায়িত্বশীল কেউই সেই কথা স্বীকার করেননি। অবশেষে মেসির পিএসজি ছাড়ার গুঞ্জনকে সত্য বলে স্বীকার করে নিলেন ক্লাবটির কোচ ক্রিস্তোফার গালতিয়ের।
গালতিয়ের বলেছেন, ‘ফুটবল ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়কে কোচিং করানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছে। পার্ক দে প্রিন্সেসে (পিএসজির ঘরের মাঠ) ক্লেরমন্টের বিপক্ষে ম্যাচই হতে যাচ্ছে লিও’র (মেসি) শেষ ম্যাচ।’
পিএসজি ছেড়ে মেসি কোথায় যোগ দেবেন সেটি নিয়েও চর্চা কম হচ্ছে না। মেসির জন্য অবিশ্বাস্য একটা প্রস্তাব দিয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। আর্জেন্টিানার বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ককে বার্ষিক ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ক্লাবটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় চার হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। এই চুক্তিতে মেসি রাজি হলে সেটি হবে ফুটবলে পারিশ্রমিকের বিশ্ব রেকর্ড। কার্যত যা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দখলে। গেল জানুয়ারিতে রেকর্ড গড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে যোগ দেন পর্তুগিজ যুবরাজ।
জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা এএফপিও জানিয়েছিল সৌদি ক্লাব আল-হিলালের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেছে মেসির। যদিও মেসির বাবা ও পরবর্তীতে আল-হিলাল কর্তৃপক্ষও এই চুক্তির সত্যতা অস্বীকার করেছে।
মার্কিন লিগ সকারেও (এমএলএস) মেসির যাওয়ার গুঞ্জন আছে। তবে সবচেয়ে জোড়ালো সম্ভাবনা বার্সেলোনায় প্রত্যাবর্তন করার। জনপ্রিয় স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্ডো দিপোর্তিভোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গ্রীষ্মেই ক্যাম্প ন্যুতে মেসিকে ফেরাতে পারে বার্সেলোনা। বার্সায় ফিরলে মেসিকে অধিনায়কত্ব দিতেও প্রস্তুত ক্লাবটি।
২০২১ পিএসজিতে যোগ দেওয়ার আগে বার্সেলোনার অধিনায়ক ছিলেন মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের বিদায়ের পর অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড ওঠে সার্জিও বুসকেটসের হাতে। তবে এই মৌসুম শেষেই ন্যু ক্যাম্প ছাড়ছেন বুসকেটস ও ডিফেন্ডার জর্দি আলবা। মেসি না ফিরলে কাতালানদের অধিনায়কত্ব পেতে পারেন রবার্তো লেভানদোভস্কি অথবা রোনাল্ড আরাউহো।
চলতি মৌসুমে পিএসজিতে সময়টা একদমই ভালো কাটেনি মেসির। কোচ ক্রিস্তোফার গালতিয়েরর অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরব ভ্রমণ করায় দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে অবশ্য ক্ষমা চাওয়ায় কমিয়ে আনা হয় মেসির শাস্তি। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরে মাঠে নামলে পিএসজি সমর্থকদের থেকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়ে মেসিকে। পিএসজি সমর্থকদের থেকে কটাক্ষের শিকার এর আগেও কয়েকবার হয়েছেন মেসি।