ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এবার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট। বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’। এতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ করার কথা তুলে ধরেন তিনি। এছাড়া, স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট কৃষি, স্মার্ট বাণিজ্য ও স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থার কথাও রয়েছে। এজন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল রাখা হয়েছে।
এই তহবিল থেকে অর্থায়নের ক্ষেত্রে মূলত উদ্ভাবনী খাতে তরুণ-তরুণীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে তরুণ-তরুণীদের কাজের সুযোগ বাড়ানো হবে। প্রথাগত কর্মসংস্থানের ধারণা থেকে বের হয়ে এসে তরুণ-তরুণীরা বিভিন্নমুখী ও উদ্ভাবনী উদ্যোগে নিজেদের নিয়োজিত করবে, নিজের ও সমাজের জন্য পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিবে, আমাদের তরুণদের মধ্যে আমরা সে ধরনের প্রণোদনার সঞ্চার করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘একইসাথে, তৈরি করে দিতে চাই অনুকূল প্ল্যাটফরম। সাধারণ, কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও জীবনব্যাপী শিক্ষার জন্য বিভিন্ন ই-লার্নিং প্ল্যাটফরমে অনলাইনে শিক্ষার সুযোগ তৈরি ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ও ইনোভেশন সেন্টারের মাধ্যমে ৮০ হাজার তরুণ-তরুণীকে অগ্রসর প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করব।’
বাজেট বক্তৃতায় আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন উপযোগী অবকাঠামো গঠন ও সুবিধাদি প্রদান করা হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের চালিকাশক্তি হিসেবে তরুণ-তরুণী ও যুবসমাজকে প্রস্তুত করে তোলার উদ্দেশ্যে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নমূলক কাজে আগামী বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’