পে-স্কেল না হলেও সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে

Slider জাতীয়


‘পে-স্কেল’, ‘মহার্ঘ ভাতা’ কিংবা ‘মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করে বেতন বৃদ্ধি’- যে পদ্ধতিতেই হোক সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়বে। আজ জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার বক্তব্যে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির প্রাথমিক ঘোষণা আসতে পারে।

২০১৫ সালের পর গত আট বছরে নতুন কোনো পে-স্কেল দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া মহার্ঘ ভাতা বা অন্যান্য কোনো সুযোগসুবিধাও বাড়েনি। এদিকে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় দ্রব্যমূল্য বেড়েছে ক্ষেত্রবিশেষে ১৫০ শতাংশ। ৫ শতাংশের মুদ্রাস্ফীতি এখন ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ অবস্থায় নতুন পে-স্কেল, ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতাসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। এমন পেক্ষাপটে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করেছে অর্থ বিভাগ।

অর্থ বিভাগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির প্রাথমিক ঘোষণা দিতে পারেন। এর পর বেতন বৃদ্ধির কাজ চূড়ান্ত করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় বাড়তি অর্থ বাজেট ঘোষণার মেটানো যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থ বিভাগ সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণ করে সুপারিশ তৈরি হবে। এ লক্ষ্যে বর্তমান বেতন-ভাতাদি আদেশের বিভিন্ন ধারা পর্যালোচনা চলছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তা সংশোধন করা হতে পারে।

জানা গেছে, এ জন্য চাকরি (বেতন-ভাতাদি) আদেশ-২০১৫ সংশোধন করা হচ্ছে। এই আদেশের ৩ ধারায় সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতিবছর বেতন বৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা আছে।

অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু দাইয়ান মোহম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় অবশ্যই কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, বাজেটে বেতন-ভাতার জন্য প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে। এর মধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা সহজেই সমন্বয় করা সম্ভব। বাজেট ঘোষণার ছয় মাস পর হলেও অতিরিক্ত ওই অর্থ সমন্বয় করা যাবে। কারণ অন্য অনেক খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ থাকে। সেই অতিরিক্ত বরাদ্দের অর্থ ফের উপযোজন করার নিয়ম আছে।

জানা গেছে, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বৃদ্ধির হার নির্ধারণ করতে ভারতসহ কয়েকটি দেশের বেতনকাঠামো পর্যালোচনা করছে অর্থ বিভাগ। আগামী অর্থবছরের জন্য বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ধরা হচ্ছে ৬.৫ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে এ হারই হতে পারে বেতন বৃদ্ধির একটি ভিত্তি। আবার বাজেট ঘোষণার পর জুন বা জুলাই শেষে মূল্যস্ফীতির হার কত থাকে, সেটাও আরেকটি ভিত্তি হতে পারে। উভয় বিকল্প হাতে নিয়েই এগোচ্ছে অর্থ বিভাগ। তবে যখনই প্রজ্ঞাপন জারি হোক না কেন, তা কার্যকর করা হবে পেছনের তারিখ বা অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই থেকে।

উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারীদের ১০ শতাংশ মূল বেতন বৃদ্ধি হলে ৪ হাজার কোটি, ১৫ শতাংশে ৬ হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশে ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি প্রয়োজন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *