ঢাকা: জটিলতায় ঘুরপাক খাচ্ছে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভাগ্য। ফল প্রকাশে জটিলতার পর ভর্তি জটিলতা, এরপর পাঠ্যপুস্তক হাতে না পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের নতুন ক্লাসে বসতে হচ্ছে তাদের।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা জানান, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির বাংলা সাহিত্য, বাংলা সহপাঠ ও ইংলিশ ফর টুডে পাঠ্যপুস্তক তিনটি নতুনভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে।
শিক্ষানীতি-২০১০’র আলোকে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ‘ইংলিশ ফর টুডে’ পাঠ্যপুস্তকটি সম্পূর্ণ নতুনভাবে প্রণয়ন করেছে এনসিটিবি।
এছাড়া ‘বাংলা সাহিত্য পাঠ’ (গদ্য ও কবিতা) এবং ‘সহপাঠ’ (উপন্যাস ও নাটক) পাঠ্যপুস্তক দুটির ব্যাপক পরিমার্জন ও সংশোধনও করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার (১ জুলাই) বেলা ১২টায় মতিঝিলে এনসিটিবি কার্যালয়ে এই পাঠ্যপুস্তক তিনটির বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী স্বাক্ষরিত এক আমন্ত্রণপত্রে এতথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, বুধবার থেকে চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা হচ্ছে। বাজারে অন্যান্য পাঠ্যপুস্তক পাওয়া গেলেও নতুন তিনটি পাওয়া যাবে বিতরণ কার্যক্রমের পর।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র বলেন, বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর পাঠ্যপুস্তকগুলো বাজারে পাওয়া যাবে। পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা, মূল্য– এসব বিষয়ে এর বেশি তথ্য দেননি এনসিটিবি চেয়ারম্যান।
নতুন পাঠ্যপুস্তকের নম্বর বিভাজনও ঠিক করেনি এনসিটিবি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ থাকলেও মুখ খোলেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এনসিটিবি সচিব ইমরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যথা সময়ে ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত নম্বর বিভাজন এনসিটিবি’র ওয়েবসাইট এবং জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।
উল্লিখিত তিনটি পাঠ্যপুস্তকে গোলাপি রঙের নিরাপত্তা কাগজ সংযোজন করে নতুন মলাটে মুদ্রণ করে বাজারজাত করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা কাগজ ও নতুন মলাট দেখে পাঠ্যপুস্তক তিনটি ক্রয়ের জন্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছে এনসিটিবি।
নতুন নিয়মে সারা দেশে একযোগে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে নানা জটিলতার পর ২৯ জুন থেকে ভর্তি শুরু হয় নতুন শিক্ষাবর্ষে।
ভর্তি তালিকায় বাদ পড়ার কারণে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস।