গ্রাম বাংলা ডেস্ক: গোলরক্ষক রোমেরোর কৃতিত্বে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠেছে আর্জেন্টিনা। বুধবার ট্রাইব্রেকার শুটআউটে নেদারল্যান্ডসকে ৪-২ গোলে হারিয়ে তারা ফাইনালে পৌঁছে যায়। আগামী রোববার তারা মারাকানায় জার্মানির বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলবে। আর্জেন্টিনা ২৪ বছর পর ফাইনালে ওঠল। এ জয়ের মাধ্যমে ফাইনালে ল্যাতিন উপস্থিতি নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা।
বুধবার নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ে কোনো পক্ষই গোল করতে না পারায় ট্রাইব্রেকার শুটআউটের আয়োজন করা হয়।
এতে আর্জেন্টনার গোলরক্ষক রোমেরোর দুর্দান্তভাবে দুটি শট প্রতিহত করেন। আর আর্জেন্টিনার প্রথম চারটি শটই গোল হয়। ফলে পঞ্চম শটটি নিতে হয়নি।
উভয় পক্ষ অনেকটা সতর্কভাবে খেলছে। দুই দলই গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েছিল। অল্পের জন্য তারা মিস করেছে।
প্রথম সেমিফাইনালে জার্মানি ৭-১ গোলে ব্রাজিলকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে ওঠে।
এই ম্যাচে ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোলটি করার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন আরিয়েন রোবেন। কিন্তু তার সেই গোল প্রচেষ্টা দারুণভাবে রুখে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার হাভিয়ের মাচেরানো।
এর আগে ৭৬ মিনিটের মাথায় হল্যান্ডের জালে একবার বল জড়িয়েও দিয়েছিলেন গঞ্জালো হিগুয়েইন। আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা মেতে উঠেছিলেন উল্লাসে। কিন্তু পরমুহূর্তেই রেফারির অফসাইডের পতাকার দিকে তাকিয়ে হতাশ হতে হয়েছে তাদের। রেফারির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কিনা, সেটা নিয়ে হয়তো অনেক বিতর্কই চলবে ফুটবল বিশ্বে। কিন্তু আপাতত সেটা দূরে রেখে অতিরিক্ত সময়ের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে ফুটবলপ্রেমীদের।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও সমানে সমানেই লড়াই চালিয়েছে দুই সেমিফাইনালিস্ট। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ৫৪ শতাংশ সময় বলের দখল ছিল হল্যান্ডের কাছে। তবে রক্ষণভাগে এসে খুব বেশি শট নিতে পারেনি ডাচরা। ছয়টি শট নিলেও কোনোটিই ছিল না আর্জেন্টিনার গোলপোস্ট লক্ষ্য করে। প্রথমার্ধে ওয়েসলি স্নেইডারের একটি শটটা চলে গেছে গোলপোস্টের বেশ খানিকটা বাইরে দিয়ে। আরিয়েন রোবেনকে কয়েকবার দেখা গেছে স্বভাবসুলভ দ্রুতগতিতে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে ঢুকে পড়তে। কিন্তু সেগুলো দিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি এই ডাচ উইঙ্গার।
১৫ মিনিটে অধিনায়ক লিওনেল মেসির একটি ফ্রি-কিক দারুণভাবে রুখে দিয়েছিলেন ডাচ গোলরক্ষক ইয়াসপার সিলেসেন। ২৫ মিনিটে এজেকিয়েল গারাইয়ের হেড চলে গেছে হল্যান্ডের গোলপোস্টের কিছুটা ওপর দিয়ে।