আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের মান ‘ব্যাপক’ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গত ২ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, মার্কিন ঋণের সীমা বৃদ্ধি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানা যাচ্ছে না। এতে দেশটির মুদ্রার বিনিময় হার বেড়েছে।
ইউএস ট্রেজারি সেক্রেটারি জানেত ইয়েলেন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগামী ১ জুন পর্যন্ত সরকারি সব বিল পরিশোধের অর্থ ফেডারেল সরকারের কাছে নেই। ফলে শিগগিরই ঋণের সীমা বৃদ্ধি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেয়া গেলে দেশের খেলাপির ঝুঁকি বাড়বে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং হাউস রিপাবলিকান স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি। তবে জাতীয় ঋণের পরিসীমা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এতে বুধবার (২৪ মে) বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান ৬ মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক বেড়েছে। বর্তমানে যা ১০৩ দশমিক ৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। রাতারাতি তা ২ মাসের মধ্যে সর্বাধিক স্তরে পৌঁছেছে।
জাপানি মুদ্রার বিরুদ্ধে স্থিতিশীল আছে গ্রিনব্যাক। প্রতি ডলারের মূল্য স্থির হয়েছে ১৩৮ দশমিক ৫৮ ইয়েনে। তবে ইউএস মুদ্রার বিপরীতে স্টার্লিংয়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ। ব্রিটিশ মুদ্রাটির দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১ দশমিক ২৪২৪ ডলারে।
একই কার্যদিবসে নিউজিল্যান্ডের কারেন্সির মূল্যমান বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ। প্রতি কিউই মুদ্রার দাম দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬২৪৯ ডলারে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। এক অসি কারেন্সি বিক্রি হচ্ছে শূন্য দশমিক ৬৬১০ ডলারে।
কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিবিদ হ্যারি ওট্টেলে বলেন, সহসাই ঋণ চুক্তি হচ্ছে না। তাতে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ফলে ডলারের মূল্যমান চড়া রয়েছে।