পেঁয়াজ আমদানি হবে কি না, দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‌পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানি হবে কি না, সেটা আগামী দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

গতকাল পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দাম কমেছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দ্রুত ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৪৫ টাকার বেশি পেঁয়াজের দাম হওয়া উচিত না। পেঁয়াজ আমদানি করা হলে ৪৫ টাকার নিচে চলে আসবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সবকিছুর একটা ধারাবাহিকতা থাকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দামে সে ধারাবাহিকতা রাখা যায়নি। সাধারণত বাজার সাপ্লাই এবং ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করে। গত বছর পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও কিছু অসাধু আড়ৎদারের কারণে গুদামে অনেক পেঁয়াজ পচে গেছে।’

বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংস্পম্পূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মোট ভূখণ্ডের মোট ৬০ ভাগ জমি আবাদ করা হয়। আবার একই জমিতে একাধিক ফসল হচ্ছে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার সঙ্গে প্রতিবছর প্রায় ২০ থেকে ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে যোগ হচ্ছে। আমরা দানাদার খাদ্যতে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকলেও প্রতিবছর ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যার কারণেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেশি। ’

এ সময় পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা হওয়া কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টা মনিটরিং করছি। আমাদের অফিসারদের মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছি। তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, কৃষকদের ঘরে পেঁয়াজ থাকলেও দাম বাড়াবে- এমন আশায় তারা অনেকেই মজুদ করে রেখে দিচ্ছেন। এতে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পেঁয়াজের শেলফ লাইফ কম। আলুর মতো না। তবে আমরা কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি, কীভাবে গুদামে রাখা যায়। যদি শেলফ লাইফ বাড়ান যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেওয়া যেত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *