সিলেট রেজিস্ট্রি মাঠে আগামীকাল দুপুর দুইটায় আসন্ন সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের টানা দু’মেয়াদের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিএনপি নির্বাহী কমিটির এই সদস্য দলীয় মনোনয়নে এবার নির্বাচন করতে পারছেন না, এটি প্রায় নিশ্চিত। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও নেতাকর্মীদের সঙ্গে পাচ্ছেন না। জেলা ও মহানগর বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা নিজেদের বক্তব্যে বারবারই এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আরিফুল হক চৌধুরীর ওপর আরও চাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন চারবারের কাউন্সিলর কয়েস লোদী। আরিফ ও লোদী দুজনই বিএনপি নেতা।
এবার কাউন্সিলর পদেও যাতে দলের কেউ প্রার্থী না হন সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেয় বিএনপি। দলের এই চাপে কাউন্সিলর কয়েস লোদী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যদিও সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান পরিষদেই বিএনপি দলীয় আটজন কাউন্সিলর রয়েছেন। লোদী ছাড়া বাকিরা এখনো নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেননি। এছাড়া নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে বিএনপির শতাধিক নেতা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তৎপরতা চালাচ্ছেন। স্থানীয় নেতারা এ নিয়ে নালিশও করেছেন কেন্দ্রে। মহানগর বিএনপি ইতিমধ্যে অন্তত ৩২ নেতাকে নির্বাচনে অংশ না নিতে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। আশা করি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন বর্জন করবেন।
এ বিষয়ে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, চাপের কিছু নেই। দলের অবস্থান পরিষ্কার। আমাকে নির্বাচন করতে হলে দল ছাড়তে হবে। আমি কী করবো তা শনিবারই জানাবো।
এদিকে আজকের সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন জানালেও মেয়রকে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে রেজিস্ট্রি মাঠ পরিদর্শনে গেলেও মেয়রের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে পুলিশ। অন্তত এক ঘণ্টা রেজিস্ট্রি মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়নি টানা দু’মেয়াদের নগরপিতাকে। তবে রেজিস্ট্রি মাঠেই জনসভা করবেন বলে জানান মেয়র।
আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন না করলে অনেকটাই ফাঁকা মাঠ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জন্য। যদিও এ পর্যন্ত ৮ জন মেয়র পদপ্রার্থী নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
শুরু থেকেই এবার দলীয়ভাবে তৎপর আওয়ামী লীগ। প্রতীক বরাদ্দ না হলেও নানান কৌশলে প্রার্থীর পক্ষে চলছে সভা সমাবেশ। এতে অংশ নিয়ে কেন্দ্রিয় নেতারাও নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সৈয়দা জেবুন্নেসা হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন সিলেট পৌঁছান।
দলীয় সূত্র জানায়, সিলেট সফরকালে নেতৃবৃন্দ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ সুরমা অঞ্চল, পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চল এই তিনটি অঞ্চলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাদা আলাদা মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখবেন।