রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে মামলা হামলা করে জমি লিখে নেয়ার অভিযোগ তুলে শ্রীপুর পৌরসর এক আ.লীগের নেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসী।
বুধবার ১৭মে বেলা ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ওই এলাকা সহ আশেপাশের এলাকার বেশকিছু ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসী উপস্থিত হয় । পরে তাদের মধ্যে ভুক্তভোগীরা গণমাধ্যম কর্মী ও সুশীল সমাজের সামনে পৌর ৯নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি তোফাজ্জলের অত্যচার , জবরদস্তি জমি দখল , হুমকি ও হয়রানির ভয়াবহ বর্ণনা তুলে ধরেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে পীরজাদা মোঃ মাইনুদ্দিন (৫৫) তার বক্তব্যে বলেন আমার বাবা তার ভাই ও বোনের কাছ থেকে ৭৫ ও ৯১ সালে জমি ক্রয় করেন। পরে খতিয়ান সমস্যা জনিত কারণে জমি অধিগ্রহণে সমস্যা হওয়ায় দাতাদের কাছে খতিয়ান সংশোধন করার জন্য বললে তারা সমাধান না দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালায়।
পরবর্তীতে আমি ২০১৬ সালে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। পরবর্তীতে মামলা চলাকালীন সময়ে ২০২১ সালে সেই ভুল এস এ-৭৭১খতিয়ানে জোর করে পাওয়ার নেয় এবং আমার সহ শরীকদের কাছ থেকেও রেকর্ড মূলে আম- মোক্তার গ্রহণ করে ক্ষমতা দেখানো ওই কথিত নেতা তোফাজ্জল হোসেন। এলাকায় যাকে এখনো সাধারণ মানুষ ভূমিদস্যু ও জাতীয়তাবাদী আওয়ামীলীগ হিসেবে জানে। পরবর্তীতে সে আমাদের জমি দখলের নেশায় আসক্ত হয়ে আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশি হয়রানি চালায়। তাই আজ আমরা সকল ভুক্তভোগী একত্র হয়ে উপজেলার সামনে দাঁড়িয়েছি আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এমন হীনমন্য ব্যক্তির বিচার চাই। আমাদের পর আর কোনও মানুষ যেন এই ব্যক্তির শিকার না হয়।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে এক শিক্ষক গণমাধ্যমকে জানান তার পাওনা বেতনের ৫৫হাজার টাকা আত্মসাত করেছে তোফাজ্জল নামের ওই ব্যক্তি। তাছাড়া রিয়াজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তার জমি জবর দখল করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে বলেন তোফাজ্জল নামের ওই লোক তাদেরকে অকারণে মিথ্যা মামলা দায়ের করে থানা থেকে পুলিশ এনে হয়রানি করতো জমি তার নামে লিখে দিতে বাধ্য করতো। তিনি আরও বলেন এই তোফাজ্জলের হিংস্র থাবায় আজ আমি অনেক কিছু হারিয়েছি। আমি এর সঠিক বিচার দাবি জানাই।
মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী মুখরিত স্লোগানে তোফাজ্জল কান্ডের চিত্র তুলে ধরে তারা সমবেত হয়ে গণমাধ্যমে জানান এলাকায় সাধারণ মানুষদের টার্গেট করতেন এই ব্যক্তি হঠাৎ রাতারাতি কোথা থেকে কিভাবে আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়ে গেল কেউ জানালো না। এক সময়ের ফেরিওয়ালা এখন নেতা হয়ে অন্যের জমি গিলে পরিচিত প্রভাবশালী হিসেবে। আমরা এলাকাবাসী এর থেকে মুক্তি চাই আপনাদের মাধ্যমে দেশের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের ব্যক্তিদের কাছে বিচার দাবি জানাই।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা গেইট হতে মিছিল শুরু করে বিভিন্ন দপ্তর প্রদক্ষিণ করে থানা এলাকায় গিয়ে শেষ করেন।
এবিষয়ে পৌর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মোল্লা বলেন,তোফাজ্জল বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে আমরা দলীয় নেতা কর্মীদেরকে বিষয়টি জানিয়েছি। অতি দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগটি রয়েছে সেই বিষয়ে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রতিটা ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে গিয়ে তদন্ত করে দলীয়ভাবে আমরা একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। এবং তার বিরুদ্ধে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুর সাথে যোগাযোগ রেখে,আওয়ামী লীগের পথ পদবী। এই বিষয়টিও আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।