বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিদেশে গিয়ে উপযুক্ত প্রটোকল না পেয়ে, প্রতিশোধ হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের সুবিধা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। প্রটোকল প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে একঘরে করে দেবে। সরকার শঙ্কিত হয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা করছে। ত্রি-দেশীয় সফরের পর প্রধানমন্ত্রী চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক যৌথ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দায়িত্বহীনভাবে ছয় দেশের কূটনীতিকদের অতিরিক্ত প্রটোকল প্রত্যাহার করেছে সরকার, এতে সংকট সৃষ্টি হবে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বাংলাদেশের মানুষের ক্ষতি করবে। এটা সুখকর কিছু বয়ে আনবে না।’
সংসদ থেকে বিএনপি এমপিদের পদত্যাগ করা সঠিক নাকি ভুল ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংসদ থেকে বের হয়ে আসা বিএনপির সঠিক সিদ্ধান্ত ছিলো। আর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ কি করবে এটা নিয়ে ভাবছে না বিএনপি।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।