৩২০ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ল বাংলাদেশ। দলীয় ৯ রানের মাথায় আউট দলীয় অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মার্ক অ্যাডায়ারের করা চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ফরওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জর্জ ডকরেলের ক্যাচে পরিণত হন তামিম। যাওয়ার আগে ১৩ বলে ৭ রান করেন তিনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ২৫। ৭ রানে ব্যাট করছেন লিটন দাস। অপর প্রান্তে ৯ রানে অপরাজিত নাজমুল হোসাইন শান্ত।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৩১৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে আয়ারল্যান্ড। কার্টিস ক্যাম্ফারের অনবদ্য ১৪০ ও জর্জ ডকরেলের ঝড়ো ৭৪ রানে এই সংগ্রহ তোলে তারা।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আয়ারল্যান্ড। ব্যাটে নেমে পেসার হাসান মাহমুদের বোলিং তোপে পড়ে আইরিশরা। ১৬ রান তুলতেই হারায় দুই উইকেট। প্রথম ওভারেই আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন হাসান। ওভারের পঞ্চম বলে পল স্টার্লিংকে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। কোনো রান না করেই ফেরেন স্টার্লিং। সপ্তম ওভারে আবারও হাসানের আঘাত। ওভারের প্রথম বলে হাসানের বল খেলতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয় আইরিশ ওপেনার স্টিফেন ডোহানির। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল করেননি শুরু থেকেই দারুণ ফিল্ডিং করতে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২ রান করেন ডোহানি।
তবে এরপরই পাল্টা আঘাত শুরু করেন বালবির্নি-টেক্টর জুটি। ৯৮ রানের জুটি গড়ে দলকে স্বপ্ন দেখান বড় রানের। প্রথমে ধীরে শুরু করলেও আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বের হন এই দুজন। ১৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো আইরিশরা তৃতীয় উইকেট হারায় ১১৪ রানে। তবে শরিফুল এর বেশি আর আগাতে দিলেন না এই জুটিকে। তার বলে আউটসাইড এজ হয়ে ফেরেন বালবির্নি (৪২)। ১৩৮ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন লোরকান টুকার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কার্টিস ক্যাম্ফারও। তবে একপাশে অবিচল ছিলেন ক্যাম্ফার।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তো বাংলাদেশি বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়েছেন ক্যাম্ফার-ডকরেল জুটি। মাত্র ৬৮ বলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। ২৮২ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন ক্যাম্ফার। ক্যাম্ফার ফিরলেও ৪৭ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন ডকরেল। ৮ বলে ২০ রান করে অপরাজিত আরেক ব্যাটসম্যান মার্ক অ্যাডায়ার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৩১৯ রান করে আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশের হয়ে ৯ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। শরিফুল ইসলামও ২ উইকেট নেন, তবে খরচ করেন ৮৩ রান। একটি করে উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচেও তেমন কিছুর শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় ৩টা ৪৫ এর সময়। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে বৃষ্টির কারণে সেই টস অনুষ্ঠিত হয়েছে সাড়ে ৫টায়। খেলা শুরু হয়েছে ৬টায়। দেরিতে শুরু হওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমিয়ে আনা হয়েছে। দুই দল ৪৫ ওভার করে ব্যাট করার সুযোগ পাবে।