প্রথমদিকে বেশ ধীরগতিতেই আগাচ্ছিল আয়াল্যান্ডের ইনিংস। প্রথম ৫০ রান আসে ১৩ ওভারে। তবে এরপরই আগ্রাসী হয়ে ওঠেন আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরবর্তী ৫০ রান আসে মাত্র ৮ ওভারে। এরই মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন চারে নামা হ্যারি টেক্টর।
১৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো আইরিশরা তৃতীয় উইকেট হারায় ১১৪ রানে। টেক্টর-বলবার্নি জুটি তৃতীয় উইকেটে ৯৮ রান তুলে ফেলেন। তবে শরিফুল এর বেশি আর আগাতে দিলেন না এই জুটিকে। তার বলে আউটসাইড এজ হয়ে ফেরেন বালবির্নি (৪২)।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের রান ২৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৪। ৬০ রানে ব্যাট করছেন টেক্টর। আর ৯ রানে অপরাজিত লোরকান টুকার।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আয়ারল্যান্ড। ব্যাটে নেমে পেসার হাসান মাহমুদের বোলিং তোপে পড়ে আইরিশরা। ১৬ রান তুলতেই হারায় দুই উইকেট।
প্রথম ওভারেই আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন হাসান। ওভারের পঞ্চম বলে পল স্টার্লিংকে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। কোনো রান না করেই ফেরেন স্টার্লিং।
ইনিংসের শুরু থেকেই বলে দারুণ মুভমেন্ট আদায় করেন হাসান। মাঝে মাঝে ভয়ংকর সব আউটসুইংয়ে পরাস্ত করতে থাকেন আইরিশ ব্যাটসম্যানদের। ১ম ওভারের পর সপ্তম ওভারে তার ফল পান হাসান। ওভারের প্রথম বলে হাসানের বল খেলতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয় আইরিশ ওপেনার স্টিফেন ডোহানির। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল করেননি শুরু থেকেই দারুণ ফিল্ডিং করতে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২ রান করেন ডোহানি।
তবে এরপরই পাল্টা আঘাত শুরু করেন বালবির্নি-টেক্টর জুটি। ৯৮ রানের জুটি গড়ে দলকে স্বপ্ন দেখান বড় রানের। প্রথমে ধীরে শুরু করলেও আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বের হন এই দুজন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচেও তেমন কিছুর শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় ৩টা ৪৫ এর সময়। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে বৃষ্টির কারণে সেই টস অনুষ্ঠিত হয়েছে সাড়ে ৫টায়। খেলা শুরু হয়েছে ৬টায়। দেরিতে শুরু হওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমিয়ে আনা হয়েছে। দুই দল ৪৫ ওভার করে ব্যাট করার সুযোগ পাবে।