গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ১-৭ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ব্রাজিলজুড়ে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গণডাকাতি হয়েছে। ব্রাজিলের জাতীয় পতাকায় পর্যন্ত আগুন দেয়া হয়েছে। অবশ্য সার্বিকভাবে ক্ষোভের চেয়ে কষ্টই বেশি দেখা গেছে ব্রাজিলীয় নাগরিকদের মধ্যে। তারা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিল না তাদের ভালোবাসার দলটি এভাবে বিধ্বস্ত হতে পারে। চোখের পানিতে কষ্ট ঝরে ঝরে পড়ছিল। খবর ডেইলি মেইল, টেলিগ্রাফ, বাজফেড এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের।
খেলার প্রথমার্ধেই জার্মানি ৫-০ গোলে এগিয়ে যায়। তখনই নিশ্চিত হয়ে গেছে, শিরোপা প্রত্যাশী ব্রাজিল তাদের সবচেয়ে বড় পরাজয়টি বরণ করতে যাচ্ছে। লজ্জায়, অপমানে ব্রাজিলের ফ্যানরা মুষড়ে পড়ে। অনেকে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই বেলো হরিজন্তের এস্তাদিও মিনেইরোর স্টেডিয়াম বেরিয়ে যায়। অনেকে ুব্ধ হয়ে স্টেডিয়াম এলাকাতেই জাতীয় পতাকায় অগ্নিসংযোগ করে।
রিও’র কাপাক্যাবানা বিচে বড় পর্দায় খেলা দেখতে আসা ফ্যানরা পড়ে আরেক বিপর্যয়ে। সেখানে তরুণদের একটি দল গণডাকাতিতে মেতে ওঠে। তারা লোকজনের কাছ থেকে ব্যাগ ও অলংকার ছিনিয়ে নিতে থাকে। ফলে শত শত ফ্যান বিচ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ফুলহা ডি সাও পোলো পত্রিকা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, একটি গ্যারেজে আগুন দেয়া হলে প্রায় ২০টি বাস পুড়ে যায়।
সাও পোলো নগরীর অন্য একটি অংশে তিনটি বাসে আগুন দেয়া হয়। এছাড়া একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানে লুটপাট চালানো হয়। পুলিশ অবশ্য এসব খবর নিশ্চিত করেনি।
ব্রাজিল যখন তৃতীয় গোলটি হজম করে, তখনই রেসিফে ফিফা ফ্যান ফেস্টে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জনতাকে শান্ত করতে অশ্বারোহী বাহিনী তলব করা হয়। তবে একটি ঘোড়া আতঙ্কিত হয়ে পড়লে আরোহী পুলিশ পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়।
রাত যত বাড়তে থাকে জাতীয় দলের পরাজয়ের রেশ ধরে ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরে নানা দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রিও ডি জেনেরিওসহ বিভিন্ন শহরে খেলায় বিরতির সময়ই বাস, রেস্টুরেন্টগুলো ফাঁকা হয়ে যেতে থাকে। অনেক শহরেই বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।