বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগের সভাপতির মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে যানবাহন ভাংচুর, অবরোধ ও প্রশাসন ভবনে দু’ দফায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।ছাত্রলীগের এ অবরোধের মধ্যে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০৬তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার রাত দেড়টার দিকে রিপন শেখ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবুর মোটরসাইকেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ মোড় এলাকায় গেলে সাবেক ছাত্র মইনউদ্দিন সোহাগ ও ইব্রাহিমসহ বেশ কয়েকজন তার কাছ থেকে সাইকেলটি নিয়ে যায়।
এঘটনায় ময়মনসিংহ ছাত্রলীগ সভাপতি জসীমউদ্দিনকে অভিযুক্ত করে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ময়মনসিংহ-গফরগাঁও সংযোগ, জব্বারের মোড় ও প্রশাসন ভবনের সমেনের সড়ক অবরোধ করে।
এসময় তারা রাস্তায় ইট, গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখে ও বেশ কয়েকটি রিক্স্রা, টেম্পু, অটোরিক্সা ও মাইক্রোবাস ভাংচুর করে। এদিকে সকাল ১০ টার দিকে প্রশাসন ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তালা ঝোলানো অবরুদ্ধ অবস্থায়ই চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০৬তম সিন্ডিকেট সভা। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিচারের আশ্বাসের ভিত্তিতে প্রশাসন ভবনের তালা ও সড়ক অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
রিপন শেখ বলেন, অস্ত্রের মুখে শেষমোড় থেকে রাত দেড়টার দিকে সোহাগ ও ইব্রাহিম মোটর সাইকেল নিয়ে চলে যায়। এসময় আরো ১০-১২ জন উপস্থিত ছিল।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু বলেন, জসিম উদ্দিন ক্যাম্পাস অস্থিশীল করার জন্য ঘটনাটি ঘটিয়েছে। দোষীদের বিচারের দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা দেওয়া হয়েছিল।
এবিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। সোহাগ ও ইব্রাহিম জেলা ছাত্রলীগের সাথে জড়িত নয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মইনউদ্দিন সোহাগ বলেন, আমি মোটর সাইকেল ছিনতাই করেনি। বাবু আমার বন্ধু তাই তার মোটর সাইকেল নিয়েছিলাম। পরে মটর সাইকেলটি ফেরত দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন বলেন, ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।