টঙ্গীতে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা চলছে

Slider গ্রাম বাংলা


টঙ্গী: ৯মে প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হলেও এখন থেকেই চলছে নৌকার অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা। যে সকল মেয়র প্রার্থী রাজনৈতিক দলের মনোনীত তারা অবশ্য দলীয় প্রতীক দিয়ে পোষ্টার করবেন। প্রতীক নিশ্চিত হওয়ার কারণে অনেক দলীয় প্রার্থী প্রতীক সহ লিফলেট নিয়ে তাদের প্রাথমিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে বর্তমানে ৯জন প্রার্থী থাকলেও ৮জনই মহাজোটের। একজন স্বতন্ত্র ও বিএনপি ঘরানার। ৯জনের মধ্যে আজমত উল্লাহ খান ও সরকার শাহনূর ইসলাম রনির বাড়ি টঙ্গী। গাজীপুর মহানগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ড টঙ্গীতে পড়েছে। ৪৩ থেকে ৫৭ নং পর্যন্ত টঙ্গীর ওয়ার্ড। টঙ্গীর ১৫টি ওয়ার্ডকে নিজেদের ভোট ব্যাংক বলে দাবী করা আজমত উল্লাহ খান ও রনি সরকারের মধ্যে তেমন কোন প্রতিদ্বন্ধিতা হবে না বলে ভোটারদের মতামত। কারণ আজমত উল্লাহ খান মহাজোটের প্রার্থী কিন্তু রনি সরকার স্বতন্ত্র। বিএনপি ও জামায়াত রনিকে তাদের গোপন সমর্থনও দেন নি বলে তথ্য রয়েছে। তাই টঙ্গীর ১৫টি ওয়ার্ডে রনি সরকার তেমন কোন প্রভাব ফেলেতে পারবেন কি না তা সময়ই বলে দেবে।

আজমত উল্লাহ খানের সমর্থকেরা মনে করছেন, টঙ্গী পৌরসভার ১৮ বছরের মেয়র আজমত উল্লাহ খান। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী নিজবাসস্থান এলাকা টঙ্গীতে ভালো অবস্থানে থাকবেন বলে তারা আশা করেন।

গাজীপুর মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সাইফুল্লাহ শাওন বলেন, বিপুল ভোটে নৌকা বিজয়ী হবে। টঙ্গীতে ব্যাপক ভোট পড়বে।

টঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল বলেন, প্রচারণা শুরু হলেই বুঝা যাবে টঙ্গী কার দখলে। ৯জন প্রার্থীর মধ্যে অনেকেইরই অবস্থান রয়েছে টঙ্গীতে।

টঙ্গীর ভাসমান দোকানদাররা বলছেন, জাহাঙ্গীর বা তার মা কে মেয়র প্রার্থী হবেন সেটা নিশ্চিত হওয়ার পর টঙ্গীর অবস্থান সঠিকভাবে বুঝা যাবে। এখন সব দিকেই নৌকা।

রাজনৈতিক লোকজন বলছেন, টঙ্গীতে লাঙ্গলের ভোটও কম নয়। জাহাঙ্গীর বা তার মা কে প্রার্থী তা নিশ্চিতের পর ভোটের মাঠের হিসেব দেয়া যাবে। বাড়ির লগুয়া হওয়ায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডলেরও ভোট আছে টঙ্গীতে। তবে এখন ভাব বুঝা যাবে না চলছে শুধু মুখরোচক আলোচনা।

এদিকে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই দলীয় প্রতীকে পোষ্টার তৈরী করে ফেলেছেন। ছোট ছোট লিফলেট গুলো এখন দোকানে দোকানে ও বাসা বাড়িতে বিতরণের কাজ চলছে। ৯মে থেকে চলবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। তখন পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে যাবে নির্বাচনী এলাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *