ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলা হয়েছে। এসময় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর চরপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিরোধিতা করে আসছিল। আজ দুপুরের দিকে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরী। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর নির্মাণকাজে বাঁধা দেন।
একপর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে ইউএনওর ওপর হামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে ইউএনও আহত হন। এ সময় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়িটিও তারা ভাঙচুর করেন।
ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান তপন বলেন, ‘আমি একটি সালিসি বৈঠকে ছিলাম। ইউএনও স্যারের মোবাইল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করি। ততক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারা ইউএনওর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেন। তার গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘হামলার সময় পুরুষদের চেয়ে নারীদের উপস্থিত বেশি ছিল। ইউএনও স্যারের নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে হামলাকারীদের নাম-পরিচয় জানতে পারিনি।’
মধুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে। আশ্রয়ণের জমি-ঘর নিয়ে স্থানীয় তার ওপর হামলা চালান স্থানীয় বাসিন্দারা।’
এ বিষয়ে ইউএনও মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ওই এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণকাজের উদ্বোধন ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা আমার ওপর হামলা চালায়। প্রাথমিকভাবে হামলাকারীদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। তবে ওখানে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা তাদের চিনবে।’ মধুখালীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলেও জানান তিনি।