নির্বাচনের আগে রাজশাহীর ৬ থানার ওসির বদলি

Slider রাজশাহী


সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ছয় থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পদে রদবদল আনা হয়েছে। গত ২৫ এপ্রিল আরএমপি কমিশনার মো. আনিসুর রহমান বদলির আদেশে সই করেন। তবে আজ রোববার এই আদেশের বিষয়টি জানা গেছে। কয়েকজন ওসিকে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরের থানায় পোস্টিং দেওয়া হয়েছে।

বদলির আদেশে দেখা যায়, মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি মশিউর রহমানকে পাঠানো হয়েছে দামকুড়া থানায়। দামকুড়া থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামানকে বদলি করা হয়েছে কাশিয়াডাঙ্গা থানায়। এক মাস আগে রাজপাড়া থানা থেকে বদলি হয়ে বেলপুকুর থানার ওসি হওয়া রুহুল আমিনকে পাঠানো হয়েছে মতিহার থানায়। আর চন্দ্রিমা থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজকে পাঠানো হয়েছে বেলপুকুর থানায়।

এদিকে পবা থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে চন্দ্রিমা থানায়। আর শাহ মখদুম থানার ওসি মোবারক পারভেজকে পাঠানো হয়েছে পবা থানায়। মতিহার থানার ওসি হাফিজুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে সিআইডিতে। আর রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমানকে আরএমপি থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আসন্ন সিটি নির্বাচনকে ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে রদবদল করা হচ্ছে।

এদিকে, আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের বদলি না করতে এবং ছুটি না দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যা ভোটের ১৫ দিন পর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, সিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করার প্রয়োজন হবে।

বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার ১৫ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ ছাড়া উল্লেখিত কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করা, ছুটি দেওয়া অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো কাজে নিয়োজিত করা যাবে না।

এদিকে আরএমপির ওসিদের বদলির কারণ আদেশে উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফাইন্যান্স) ফারুক হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বদলির কারণ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, এটি পুলিশের একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। জনস্বার্থে তাদের বদলি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *