সুদান থেকে এখনই ফিরতে চাচ্ছেন না অনেক বাংলাদেশি

Slider সারাদেশ


ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া সশস্ত্র দুই দলের সহিংস সংঘাতে টালমাটাল আফ্রিকার দেশ সুদান। চলতি মাসের শুরুর দিকে সেনাবাহিনী এবং আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধের ভয়াবহতায় সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে অন্য দেশের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শুরুতে দেশে ফিরতে আগ্রহী প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু যুদ্ধের তীব্রতা কিছুটা কমে আসায় এখন দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন তারা। অনেকেই দেশটি থেকে এখনই ফিরতে চাচ্ছেন না। তারা সুদানের যুদ্ধ-পরিস্থিতি পর্যবক্ষেণ করছেন।

সুদানের রাজধানী খার্তুমে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) তারেক আহমেদ আমাদের সময়কে এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সৌদি জাহাজের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

দূতাবাস সূত্র জানায়, দেশে ফিরতে আগ্রহী অনেকেই এখন দূতাবাসকে না আসার কথা বলছেন। আবার নতুন নতুন ব্যক্তি যুক্ত হচ্ছেন এ তালিকায়।

তারেক আহমেদ বলেন, প্রথম পোর্ট সুদানে এবং সেখান থেকে জাহাজে করে জেদ্দায় নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। এরপর জেদ্দা থেকে বাংলাদেশিদের বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরানো হবে। সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশিদের ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের ভয়াবহতা কমে আসলেও বর্তমানে নতুন উৎপাত শুরু হয়েছে। এখন বিভিন্ন জায়গায় লুটপাট শুরু হয়েছে। আমরা খার্তুম থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছি। এখান থেকেই আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।’

বাংলাদেশিদের ফেরানোর ব্যাপারে তারেক আহমেদ বলেন, ‘আমরা একটা তারিখ চূড়ান্ত করেছি ৩০ এপ্রিল। তবে জাহাজ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। এছাড়া প্রথম দিকে যে ৫০০ বাংলাদেশি দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই এখন ফিরতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। মনে হয় তারা পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আশায় পর্যবেক্ষণ করছেন। এ জন্য ৩০ এপ্রিলের তারিখটা আমরা শিথিল করেছি। এছাড়া সৌদি জাহাজ প্রাপ্যতার একটা বিষয় আছে। জাহাজ পেলেই আমরা আমাদের নাগরিকদের ফেরাতে পারব।’

অনেক বিদেশি পোর্ট সুদান এলাকায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘ফেরার জন্য পোর্ট সুদানে এতো বেশি লোক জড়ো হযেছে যে একোমোডেশনের অভাবে অনেক বিদেশি মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তারা মসজিদ-রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় খুব কষ্টে আছে। যার জন্য আমরা তারিখটা এমনভাবে করতে চাই, যেন বাংলাদেশিদের অসুবিধা না হয়। তাই আমরা ঠিক করেছি, জাহাজের তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার পর বাস ঠিক করব। আমরা চেষ্টা করছি, বাংলাদেশিদের যেন ভালোভাবে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *