কোটা পূরণ না হলেও হজের নিবন্ধনের সময় আর বাড়বে না বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। পাশাপাশি হজ প্যাকেজের খরচ কমানো সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক অ্যাপস উদ্বোধন শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান।
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘এ বছর ৯ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। তারপরও কিছু কোটা বাকি রয়েছে। এখন হাতে আর কোনো সময় নেই। তাই কোটা পূরণ না হলেও এ বছর আর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ছে না। সেই সঙ্গে হজ প্যাকেজের খরচও কমানো সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে কারণে মন্দা চলছে। এই অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব মুসলিম দেশগুলোর ওপর পড়েছে। ফলে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত থেকেও হজযাত্রী যাওয়ার সংখ্যা কমে গেছে। অন্যান্য দেশে হজযাত্রী সংখ্যার তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা ভালো। হজ শেষ হলে আপনারা দেখতে পারবেন অন্যান্য দেশ কত সংখ্যক হজ কোটা ফেরত দিয়েছে।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক সক্ষমতা ভালো হওয়ায় এক লাখ ২০ হাজারের মতো হজযাত্রী চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘হজ ব্যবস্থাপনায় আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। হজ এজেন্সিগুলো প্রযুক্তিগত সেবা দিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করেছে। ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়েছে। গত ১৪ বছরে হজ ব্যবস্থাপনায় যে উন্নতি হয়েছে তা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে।’
ফরিদুল হক খান বলেন, ‘আগের বছরের হজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী বছরের হজের প্রস্তুতি শুরু হয়। অর্থাৎ মন্ত্রণালয় সারা বছর ধরেই প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকে। সৌদি সরকারের দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে পরিবর্তিত নিয়মনীতির আলোকে প্রস্তুতি চলতে থাকে। এ ধারাবাহিকতায় দেশের মধ্যে অনেকগুলো মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে একটি সফল, নিরাপদ ও সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তার করণীয় পর্যায়ক্রমে সুন্দরভাবে সম্পাদন করে চলছে।’
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত সচিব (হজ) মো. মতিউল ইসলাম, হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রমুখ।