ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন সবাই। আর টানা ছুটিতে আত্মীয়স্বজনকে একসঙ্গে পাওয়ার সুযোগে ঝালকাঠিতে চলছে বিয়ের ধুম। শহর কিংবা গ্রাম সবখানেই বাজছে বিয়ের সানাই। সম্প্রীতির বন্ধনে এ যেন ঈদকেন্দ্রিক বিয়ে সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন (২৩ এপ্রিল) থেকে জেলাজুড়ে বিয়ের এ ধুম শুরু হয়। ঈদের ছুটিকে ঘিরে পঞ্চম দিন ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৫ শতাধিক বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের ছুটিতে ঝালকাঠির পার্লর আর ফুলসহ বিয়েকেন্দ্রিক সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন দম ফেলারও সময় নেই। শহর থেকে গ্রাম সবখানেই যেন বিয়ের হিড়িক।
শহরের কামিনী পুষ্পকুঞ্জের মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ঈদের পরদিন থেকে এমন ঈদকেন্দ্রিক বিয়ে সংস্কৃতি শুরু হয়। আমাদের ঈদের আগের দিন থেকেই ব্যস্ততা শুরু হয়। চলে ঈদের পাঁচ দিন পর্যন্ত। ক্রেতার চাহিদা পূরণ করাটাই আমাদের উৎসবের তাৎপর্য। ফুল ছাড়াও বিয়ের পাগড়ি, শেরওয়ানি, জুতা ইত্যাদি ভাড়া দিয়ে থাকি। আর বিয়ের গাড়ি এবং আসর সাজাতে পাঁচ দিন যে কীভাবে কেটে যায় টের পাই না।
শহরের একটি পার্লারে বউ সাজতে আসা ফরজানা আক্তার বলেন, ঈদের সময় বিয়ে আয়োজন মজার হয়। জীবিকার কারণে আত্মীয়রা সারা বছর কর্মব্যস্ত থাকেন। কেবল বছরের এই ঈদ উৎসবেই নাড়ির টানে সবাই গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসন। এ সময় আত্মীয়স্বজন সবাইকে একসঙ্গে কাছে পাওয়ায় বিয়ের এ সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিন দিন মানুষের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় ঈদের ছুটিতে তাই বিয়ের এ অনুষ্ঠানের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
কাজী সমিতির সভাপতি সভাপতি বলেন, ঈদের সময় আত্মীয়স্বজনসহ সবার উপস্থিতিতে সামাজিক সম্প্রীতি যেমন বাড়ছে, তেমনি ঈদের উৎসবও বর্ণিল হচ্ছে।