সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও নেত্রকোনায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জে ৬ জন, মৌলভীবাজারে দুইজন, সিলেটে এক জন ও নেত্রকোনায় এক জন মারা যান।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হাওরে বোরো ধান কাটার সময় বজ্রপাতে সুনামগঞ্জের তিন উপজেলার দুই শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন ছাতক, দুজন দোয়ারাবাজার ও একজন তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা। তারা ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবেরগাঁও গ্রামের মহিম মিয়া (১৩), বড়কাপন গ্রামের আরশ আলী (৬০), আব্দুস সামাদ (৪৫), দোয়ারাবাজার উপজেলার এরুখাই গ্রামের মিলন মিয়া (১৪), তারা মিয়া (৩২) এবং তাহিরপুর উপজেলার কুকুরকান্দি গ্রামের রমজান আলী (১৫)। এ সময় কুকুরকান্দি গ্রামের মুকতি মিয়া ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নিজাম উদ্দিন (২৫) বজ্রপাতে আহত হয়েছেন।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ জানান, আজ সকাল থেকে আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ ছিল। ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছিল। সকাল ১০টার পর থেকে দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে বজ্রপাতের আঘাতে হাওরে ধান কাটার সময় এই ছয় জনের মৃত্যু হয়।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, জেলায় বজ্রপাতে দুইজন মারা গেছেন। তারা হলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার লালবাগ গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন (২২) ও কমলগঞ্জ উপজেলার উত্তর তিলকপুর গ্রামের সোম শব্দকর (৪২)। শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর সরদার ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিলেট অফিস জানায়, জেলার বালাগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আনসার আলী উপজেলার মোহাম্মদ গ্রামের বাসিন্দা। বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, জেলার দুর্গাপুরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে রবিকুল হাসান (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার ভাই হাবুল্লাহ হাসান (২৫) আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দউষান গ্রামের এ দুর্ঘটনা ঘটে। রবিকুল ও আহত হাবুল্লাহ আপন দুই ভাই। তারা ওই গ্রামের আব্দুস কুদ্দুসের ছেলে। দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) মোহাম্মদ নুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।