সুনামগঞ্জে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ৬ কৃষক নিহত
সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ছয় কৃষক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সুনামগঞ্জে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে তিন কিশোরসহ ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে বজ্রপাতে তারা মারা যান। বজ্রপাতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মিলন মিয়া (১৪) ও তারা মিয়া (৩৫), ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবেরগাও গ্রামের মহিম মিয়া (১৩), বড়কাপন গ্রামের আরশ আলী (৬৫), চর মহল্লা ইউনিয়নেব চর দুরলভ গ্রামের আব্দুস সামাদ ও তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের রমজান মিয়া (১৪)। নিহতরা সবাই নিজ নিজ এলাকার হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেব দুলাল ধর জানান, উপজেলার রণভূমি হাওরে ধান কাটার সময় মিলন মিয়া ও তারা মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান।
ছাতক থানার ওসি খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির জানান, ছাতক উপজেলার দেবেরগাও গ্রামের হাওরে ধান কাটার সময় মহিম মিয়া ও একই উপজেলার বড়কাপন গ্রামের হাওরে ধান কাটার সময় আরশ আলী নামের ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ ও চর মহল্লা ইউনিয়নেব চর দুরলভ গ্রামের আব্দুস সামাদ মারা যান।
তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের রমজান মিয়া ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।
এদিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহত অবস্থায় আরও একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে।
এ দিন সকাল ১০টার দিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় পনের বিশ মিনিট স্থায়ী ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাতও হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের লালবাগ এলাকায় জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে রিয়াজ উদ্দিন নামের একজনের মৃত্যু ঘটে। এসময় আহত হয় হায়দার মিয়া নামের আরেক কৃষক। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় মৌলভীবাজার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার নগর নামক এলাকায় ক্ষেতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে সোম শব্দকর নামের আরেক কৃষক নিহত খওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বজ্রপাতে নিহত রিয়াজ উদ্দিনের দাফনের জন্য শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।