তুহিন সারোয়ার/আলী আজগর পিরু
গাজীপুর অফিস: সময় ও লোকবলের সংকটে আস্থাহীনতার অভিযোগ থেকে মুক্তির জন্য এবং তদন্ত সংস্থার ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে গঠিত ন্যায় বিচারের বিশ্বস্থ তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর জেলা অফিস, আদালত থেকে প্রথম সরাসরি মামলার তদন্ত পাওয়া শুরু করেছে। ফলে তদন্ত কাজের নতুন আশার আলো সঞ্চার হবে বলে আশা করছে ভোক্তভোগীরা।
শনিবার(২৭ জুন) দুপুরে গাজীপুর শহরের বিলাসপুরে অবস্থিত পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর জেলা অফিসের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ গ্রামবাংলানিউজকে ওই তথ্য জানান।
মিস্টার আলিফ জানান, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কৌশল ব্যবহার করে পিবিআই সিডিউল ভূক্ত মামলা তদন্তের মাধ্যমে অপরাধ নিমূল করা হবে। খুন, ডাকাতি, খুন সহ ডাকাতি,ধর্ষন, অস্ত্র মামলা, বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত মামলা, সাইবার ক্রাইম, মানব পাচার, চোরাচালান ও কালোবাজারী, অপহরণ ও মুক্তিপন এবং মাদক দ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধের মামলা তদন্ত কবে পিবিআই।
পিবিআই গাজীপুর জেলা অফিসের পুলিশ পরিদর্শক খোন্দকার শওকত জাহান গ্রামবাংলানিউজকে জানান, ২৪ জুন গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল থেকে প্রথম একটি মামলা তদন্তের জন্য আদেশ হয়েছে। বিচারিক কাজে পিবিআই এর তদন্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য ২৮ জুন রোববার বিকাল ৩টায় গাজীপুর জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে পিবিআই ও জজশীপদের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকের পর পিবিআই এর কাযক্রম সম্পকে জনগনের ধারণা স্পষ্ট হবে।
গাজীপুর আদালতে বিচারাধীন মামলার জনৈক বাদী জসিম উদ্দিন জানান, পিবিআই কি কি তদন্ত করবে এটি জানা থাকলে ভূক্তভোগীরা আদালতে তদন্তের জন্য পিবিআই কে মামলা দেয়ার জন্য বলবে।
নারী শিশু নির্যাতন মামলার আসামী সুইটি আক্তার জানান, থানা পুলিশের পিছনে ঘুরতে ঘুরতে জীবন শেষ। তদন্ত শেষ হয় না। তাই পিবিআই কম সময়ে সঠিক তদন্ত করতে পারলে ন্যায় বিচার দ্রুত নিশ্চিত হতে পারে।
প্রায় দুই বছর পূর্বে সরকার পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গঠন করে। ভাড়ায় পরিচালিত পিবিআই গাজীপুর জেলা অফিসে বর্তমানে লোকবল রয়েছে ২২ জন। প্রধান হিসেবে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ। পরিদর্শক রয়েছেন ৫জন। উপ-পরিদর্শক(এসআই) ৭জন। সহকারী উপ-পরিদর্শক(এ এসআই) ৪জন ও কনস্টেবল আছে ৫জন।