চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ও মধ্যপ্রাচ্যের আরবি তারিখের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করছেন পটুয়াখালীর ২৫ গ্রামের মানুষ। আজ শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজে ঈমামতি করেন দরবার শরীফ মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম গনি। আগাম ঈদকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় বিরাজ করছে খুশির জোয়ার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ও ছোট বিঘাই, গলাচিপা উপজেলার সেনের হাওলা, পশুরিবুনিয়া, নিজ হাওলা ও কানকুনি পাড়া, বাউফল উপজেলার মদনপুরা, শাপলাখালী, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদী, চন্দ্রপাড়া, দ্বি-পাশা, কনকদিয়া, সাবুপুরা, বামনিকাঠী, বানাজোড়া ও আমিরাবাদ এবং কলাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ দেবপুর, পাটুয়া, মরিচবুনিয়া, নাইয়া পট্টি, নিশানবাড়িয়া, শাফাখালী, তেগাছিয়া, ছোনখোলা ও বাদুরতলী গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
বদরপুর দরবার শরীফের খাদেম মো. নাজমুল আকন্দ বলেন, ‘বিশ্বের অন্য মুসলিম দেশের সঙ্গে মিল রেখে আমরা রোজা রাখি এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করি। আমরা সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফের পীর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার পীর এবং পটিয়ার এলাহাবাদ পীরের অনুসারী। তাদের চাঁনতারা পীরের মুরিদও বলা হয়। আমরা ১৯২৮ সাল থেকে প্রতিবছর এভাবে আগাম রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করি।’