যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ থাকার ৭২ ঘণ্টা পর উৎপাদনে ফিরেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে ইউনিটটি থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে ১৫ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার রাতে উৎপাদন আবার শুরু হয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রটির কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ব্যাপক লোডশেডিং দেখা দেয়। ফের উৎপাদনে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পরে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রায় ১ মাস পর ১৫ ফেব্রুয়ারি আবারও উৎপাদন শুরু হয়।
২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এ কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। প্রায় নয় বছর শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি।