ঈদ যাত্রায় উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করে। তবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তেমন ভিড় দেখা যায়নি।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঘরে ফেরা নিশ্চিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা।
পরিবার নিয়ে গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় বাস করেন স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিক একরামুল হক রকি। কারখানা ছুটি হওয়ার একদিন আগেই তিনি রওনা হয়েছেন স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে। চন্দ্রা এলাকায় কথা হয় তার সঙ্গে। রকি বলেন, ‘বুধবার কারখানা ছুটি হবে। একদিনের ছুটি অগ্রিম নিয়ে ভোগান্তি এড়াতে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। সারা বছর অনেক স্বজনের সঙ্গে দেখা হয় না। সবাই আশায় থাকে ঈদে সঙ্গে দেখা হবে, আনন্দ হবে। অনেক আশা নিয়ে ঈদ করতে যাচ্ছি।’
ঈদ যাত্রায় ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আগেই পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়েছেন শফিপুরের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার কারখানার শ্রমিক আবু রায়হান। তিনি বলেন, ‘বরাবরই ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি হয়, অতিরিক্ত ভাড়ার পাশাপাশি বাসে যাতায়াত করতে সন্তান নিয়ে কষ্ট হয়। তাই দুই সন্তানের স্কুল ছুটির পরই পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামীকাল ডিউটি শেষে আমি বাড়ি যাব।’
বগুড়াগামী আলম পরিবহনের চালক লিয়াকত আলী বলেন, ‘অনেকে তারাবির নামাজ শেষে রওনা হবেন। আগামীকাল অনেক কারখানা ছুটি হবে। তখন ভিড় আরও বাড়বে। এ ভিড় ঈদের আগ পর্যন্ত থাকবে।
হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের অধীন ৬৮০ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছে। যেকোনো স্থানে গাড়ি বিকল হওয়া মাত্রই গাড়ি সরিয়ে নিতে ১১টি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো অবস্থায় যানজটমুক্ত ঈদযাত্রা করতে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের অধীন ১৮টি থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
গাজীপুর পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, ‘ঈদ যাত্রায় পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশ, ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি কমাতে কাজ করবে। এছাড়া ঈদ যাত্রায় মলম পার্টি, ছিনতাইকারী রোধে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চন্দ্রা হলো উত্তরবঙ্গের মূল প্রবেশদ্বার। শুধু চন্দ্রাতে দুই শিফটে ২০০-এর বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।