২০১৬ সালে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের ভবনটিকে ‘অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে সেখানে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
আজ শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর একে একে ফায়ার সর্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় কাজ করছে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী। এছাড়াও র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা সেখানে কাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হলেও আগুন মার্কেটের একপাশে ছিল। তবে দুই ঘণ্টা পর আগুন তৃতীয় তলার গোটা ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। দ্বিতীয় তলায় এখনও আগুন না ছড়ালেও প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এক পাশের আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও আবার অন্য পাশে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে।
কারণ হিসেবে ফায়ার ফাইটাররা বলছেন, আমরা ব্যবসায়ী এবং দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি ভেতরে বিশেষ করে দ্বিতীয় তলায় অনেকগুলো এসি রয়েছে। সেই এসিগুলো কিছুক্ষণ পরপর বিস্ফোরিত হচ্ছে। যে কারণে আগুন বাড়ছে সঙ্গে ধোঁয়াও।
এদিকে ব্যবসায়ীরা মার্কেটের প্রথম তলার দোকানগুলো থেকে ঝুঁকি নিয়ে মালামাল বের করে আনছেন। মার্কেটটিতে ছেলেদের গেঞ্জি, ফুল ও হাফ প্যান্ট, ট্রাউজার, শার্ট ও মেয়েদের টপসসহ নানা ধরনের পোশাক বিক্রি করা হয়ে থাকে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত মাল মজুদ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাই বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন তারা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার বলেন, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউ সুপার মার্কেটে এ আগুন লাগে এবং ৫টা ৪৩ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ইউনিট সংখ্যা বাড়িয়ে ২৮টি করা হয়।
গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ওই ভয়াবহ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও আগুন। বঙ্গবাজারের আগুনে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ব্যবসায়ীরা।