মা থাকুক অক্ষয় অনন্ত অম্বরে
……………মুর্শিদা মুন্নী
মায়ের হাতের জাদু, মুখের মধু অনন্ত কালের জন্য,
পার্থিব সকল সুখের কাছে মায়ের স্পর্শ …শান্তির দ্যূত,
মাকে হৃদয়ে ধারণ করেই আমৃত্যু স্বপ্ন সাধনা।
রাতের আঁধার যখন ভয়ংকর মূর্তি নিয়ে আবির্ভূত হত
মা তখন পৃথিবীর সবচেয়ে সাহসী যোদ্ধা,
কেবল মনের সাহসে ভর করে পৃথিবীর তাবৎ
অনাচার, অবিচার রুখে দেয়ার সংকল্প।
ক্রমশ: নবীন সৌন্দর্যে উৎসারিত, উদ্ভাসিত আমরা
মা আস্তে আস্তে মলিন হতে থাকেন সৌন্দর্যে, শক্তিতে, ব্যক্তিত্বত ,
কারণ মা জানেন বড় গাছের নীচে ছোট গাছ বাড়তে পারে না ।
মা সবটুকু দিয়ে আমাদের আলোকিত করেন আস্তে আস্তে
নিজের ছোট্ট ছোট্ট অপ্রাপ্তি, চাওয়া গুলোকে জলাঞ্জলি দিয়ে ।
আমরা যৌবনদ্বীপ্ত হয়ে অহংকারে মাথা উঁচু করে সামনে এগোই
মা তখন আত্মপ্রসাদের স্মিত হাসি মুখে রেখে
আলগোছে অন্দরমহলে ঢুকে যান।
মা কেবল শীতের রাতের উষ্ণ কম্বল,
প্রচণ্ড জ্বরে বেহুঁশ আমার প্রানের দাবীতে
সারা রাত নির্ঘুম কাটান অবিচল আস্থায়।
মায়ের হাতের জাদু, স্নেহের আশ্রয়, দুষ্টুমিতে প্রশ্রয়
আজ বড্ড মন উদাস করে।
আবার শৈশবের মায়ার আশ্রয়ে মায়ের কোল
ফিরে পেতে মন চায়।
মা চাই আমৃত্যু, মা চাই সকাল, দুপুর, বিকেল, রাত, ভোরে
সবখানে সব নিয়ে মা থাকুক অক্ষয় অনন্ত অম্বরে।