কক্সবাজার: টানা কয়েকদিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধস ও পানিতে ডুবে কক্সবাজারের রামু এবং সেন্টমার্টিনে পৃথক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জুন) সকালে রামুতে পাহাড় ধস ও নৌকা ডুবিতে গর্ভবতী নারীসহ মোট ৪জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও দুপুরে সেন্টমার্টিনে ঝড়ে গাছ পড়ে মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এরা হলেন, রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের লজ উখিয়াঘোনা গ্রামের আমির হোসেন (৪২) এবং নৌকা ডুবিতে আমতলীয়া পাড়ার গর্ভবতী নারী হালিমা বেগম (২৮) ও পথেখারটোলের শিশু রিদওয়ান (১০)। বাকী তিনজের নামপরিচয় জানা যায়নি।
রামু থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম রামু উপজেলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে জেলা দুর্যোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম দুই উপজেলায় ৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে রামুতে ৪ ও সেন্টমার্টিনে ২জন।
টানা কয়েকদিনের বর্ষণের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত গর্জনীয়া ইউনিয়ন। এছাড়া জেলার সহস্রাধিক গ্রাম পানিতে ডুবে আছে। জলাবদ্ধতার ফলে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের পাহাড় ধসে আশঙ্কা।
সকাল থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটা বিরোধী অভিযান চলছে। তবুও থেমে নেই পাহাড় কাটা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই বৃষ্টিপাতের মধ্যেও চলছে পাহাড় কাটা।
টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় কক্সবাজার সদরের ১০ গ্রাম, মহেশখালী উপজেলার ১৫ গ্রাম, কুতুবদিয়া উপজেলার ১৫ গ্রাম, চকরিয়ার ২০ গ্রাম, উখিয়ার উপজেলার ১০ গ্রাম, রামু উপজেলা ২০ গ্রাম ও টেকনাফের ১০ গ্রাম। এতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়াও পানিতে ভেসে গেছে প্রায় ৫০টি চিংড়ি ঘেরের মাছ।