শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে সমালোচনার মুখে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। শোভাযাত্রার পরবর্তীতে এখন জাতীয় সংগীত ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ পালনের নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসেন এ নতুন নির্দেশনা জারি করেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘মাহে রমজানের পবিত্রতা ও ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে হবে। আদেশটি সব বেসরকারি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সুপার ও ইবতেদায়ি প্রধানদের পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে ৩ এপ্রিল মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে সব মাদ্রাসায় মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
হঠাৎ করে নতুন নির্দেশনা কেন দেওয়া হলো জানতে চাইলে উপ-পরিচালক (প্রশাসক) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আগে আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে সংযুক্ত করে নির্দেশনা দিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনা হওয়ায় এখন নতুন করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ইত্যাদি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠান চাইলে নববর্ষের অন্যান্য কার্যক্রম করতে পারবেন।’
এদিকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশনা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশনা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল সব মাদ্রাসায় বাংলা নববর্ষ উদযাপনে র্যালি আয়োজনের নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। সে আদেশটি গত ৯ এপ্রিল সব মাদ্রাসায় পাঠানো হয়েছিল। পরে এ নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
এ পরিস্থিতিতে মাদ্রাসাগুলোতে কীভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে সে বিষয়ে জানাতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, আগের নির্দেশনা বাতিল হয়নি। নতুন নির্দেশনাও বহাল আছে। কৌশলগতভাবে এ নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন কর্মকর্তারা।