বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী হিসেবে প্রচারণা থাকলেও বাস্তব কথা বলতে কাউকে ছাড়তেন না ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সরকারের কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি খোদ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেও নানা সময় কথা বলেছেন তিনি। আবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে নিয়েও কথা বলতে দেখা গেছে বহুবার।
সবশেষ গত মার্চে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় যোগ দিয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সেখানে দেখা হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। কুশল বিনিময় শেষে সরকার প্রধানকে তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের পরামর্শ দেন।
গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রের সব পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও পেশাজীবীরা এতে আমন্ত্রিত ছিলেন। অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও হুইল চেয়ারে বসে বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ফাঁকে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘুরে ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর টেবিলের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। এসময় মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাস্থ্যখাতে অসামান্য অবদান রাখা এই মানুষটির সঙ্গে আপনমনে কথা বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
প্রধানমন্ত্রী যখন দাঁড়িয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন তখন পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও তার স্ত্রী। আরও ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংসদের হুইপ আ স ম ফিরোজসহ অনেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুশলাদি বিনিময়ের এক পর্যায়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দ্বাদশ নির্বাচন ইস্যুতে সৃষ্ট সংকট নিরসনে বিএনপিসহ বিরোধী দলকে সংলাপে ডাকতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন।