সদ্য প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যু পরবর্তী সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আনুষ্ঠানিক কথা বলবে তার হাতে গড়া গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ড।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানিয়েছেন বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে পরবর্তী সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলবেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও শ্রদ্ধা নিবেদন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আলতাফুন্নেছা।
এদিকে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে নিজের দেহদান করার অসিয়ত করে গেছেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তবে সেক্ষেত্রে যে আইনী প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয় তা শেষ করে যেতে পারেননি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে।
এখন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দাফন করা হবে নাকি দেহদান করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে তা জানা যাবে আজ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্য সামিয়া। তিনি পরিবারের সম্মতি নিয়েই রেখেছিলেন। সে অনুযায়ীই সবকিছু হবে। মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা আছে। সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাসপাতাল গড়ে তোলার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধের পর চিকিৎসা গবেষণা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের কাজ করেছেন। জাতীয় ঔষধ নীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মাধ্যমে সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি।
সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত না হলেও আজীবন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। গণমুখী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সংহতি-সমর্থন দিয়ে গেছেন।
জাতীয় জীবনে অবদান রাখার জন্য ১৯৭৭ সালেই স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।
কিডনি সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর কেন্দ্রে গত সোমবারই লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল ডা. জাফরুল্লাহকে। সেখানে মঙ্গলবার রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।