সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এর জন্য একটি ‘কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি’ গঠনসহ ইউনিটভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী জুনে এ পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ অফিস আদেশে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আহ্বায়ক, রেজিস্ট্রারকে সদস্যসচিব ও ট্রেজারারসহ বাকি ছয় ডিনকে সদস্য করে ‘কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সার্বিকভাবে তদারকি করবে এ কমিটি।
এছাড়া ইউনিট ভিত্তিক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এরমধ্যে কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন অনুষদ এবং ইন্সটিটিউট সমূহকে ‘বি’ ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে সমন্বয়কারী এবং কলা ও আইন অনুষদের ডিনকে যুগ্ম সমন্বকারীসহ ২৪ জন বিভাগীয় প্রধানকে সদস্য করা হয়েছে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান গণমাধ্যমে জানান জানান, মোট তিনটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান অনুষদ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর সমন্বয়ে ‘এ’ ইউনিট। যেখানে সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন। কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন ও ইনস্টিটিউটসমূহ নিয়ে ‘বি’ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। যেখানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের বিভাগগুলো নিয়ে ‘সি’ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এই অনুষদের ডিন এই ইউনিটের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
রেজিস্ট্রার আরও জানান, ইউনিট কমিটি থেকে আবেদন করার যোগ্যতা, আবেদন ফি নির্ধারণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির নিকট প্রস্তাব পেশ করবে। এছাড়া ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও ভর্তি নির্দেশিকা প্রণয়নপূর্বক কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির অনুমোদনের জন্য পেশ করবে।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ইউনিট কমিটি থেকে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা নেওয়ার প্রাথমিক তারিখ পাঠিয়েছি। এটি সেন্ট্রাল কমিটি থেকে সমন্বয় করে চূড়ান্ত করা হবে। তবে পরীক্ষা মে মাসে নেওয়া সম্ভব হবে না। জুন মাসে আমরা পরীক্ষা নেব।’
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ৬৫তম বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে গত ৩ এপ্রিল গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষার জন্য মানববন্ধন শেষে উপাচার্যের কক্ষ ঘেরাও করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতিসহ বাকি শিক্ষকরা।