মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :একমাস ৬ দিন পর শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম বিসিবি’র ভেন্যুর মর্যাদা ফিরে পাওয়ার প্রথম দিনই মাঠের পরিচর্যায় নেমেছেন কর্মীরা। একই সাথে একমাসে অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে থাকা ড্রেসিংরুমসহ আনুষাঙ্গিক পরিচ্ছন্নতাতেও হাত দেওয়া হয়েছে।গত রোববার, ৯ এপ্রিল, শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায় স্টেডিয়ামের আউট ফিল্ডে পানি দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পর মাঠে পানি দেওয়া হলো। মাঠে পানি দেওয়া হলেও ঘাস কাটা শুরু হয়নি। এ ব্যাপারে গত রোববার, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায়, যোগাযোগ করা হলে ভেন্যু ম্যানেজার জনাব মোঃ জামিলুর রহমান(জামিল) জানান, স্টেডিয়াম থেকে ৩১ টি এসিসহ যা যা নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো তা আবার ফেরত আসছে।ইতোমধ্যে মালামাল পরিরহনের কার্গো মালামাল নিয়ে বগুড়ার পথে রওনা হয়েছে। গত রোববার, বগুড়ায় পৌছার পর থেকে মঠে ঘাসকাটা শুরু হবে। আউটফিল্ডে পানি দেওয়ায় ঘাস সতেজ হতে শুরু করেছে। ঘাস সতেজ হলে মাঠ আবার আগের অবস্থায় ফিরবে। তিনি আরও জানান, এই মাঠে পুনর্বহাল হওয়া ১৬ জন কর্মচারিই কাজে যোগ দিয়েছেন।এদিকে শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম বিসিবি’র ভেন্যু হিসেবে বহাল হওয়ার সংবাদে ক্রীড়ামোদী বগুড়াবাসীর মনে স্বস্তি ফিরেছে। আগামী দিনে এই মাঠে আবারও আন্তর্জাতিক ম্যাচ হবে এই আশা করছেন। ভেন্যু ফিরে এসেছে এই সংবাদ ফিরে পাওয়ার পর গত রোববার, ৯ এপ্রিল/২৩ বিপুল সংখ্যাক সাধারণ মানুষ স্টেডিয়ামে যান। তারা স্টেডিয়ামের মাটিতে পা ফেলে স্বস্তি প্রকাশ করেন।শহরের মালগ্রাম এলাকার রানা জানান, যে দিন মালামাল নিয়ে যাওয়া হয় তার পর দিন মানববন্ধন করেছিলাম। ভেন্যু ফিরে পাওয়ার সংবাদে ভালো লাগছে। তাই মাঠে এসেছি দেখতে। মাঠে এসেই শান্তি পেলাম।উল্লেখ্য বগুড়া ডিএসএ সহযোগিতা করছে না এমন অভিযোগ এনে বিসিবি বিগত ২ ফেব্রুয়ারি শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে চিঠি দিয়ে এই মাঠ থেকে তাদের ভেন্যুর মর্যাদা প্রত্যাহার করার কথা জানিয়ে দেয় এবং এখান থেকে মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় সরঞ্জামসহ তাদের সব কিছু একদিনের মধ্যেই নিয়ে যায়।এমনকি এখানে বিসিবি’র যে ১৭জন জনবল ছিল তাদেরকেও তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিসিবি’র ভেন্যু ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে। গত শনিবার,৮ মার্চে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বিসিবির বৈঠকের পর ভেন্যু ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। একই সাথে মাঠের ১৭ কর্মির মধ্যে ১৬ জনকে বগুড়ায় ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তও হয়।